পাতা:উৎস - জলধর সেন.pdf/৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উৎস সেই আদেশ দিয়ে পাঠিয়েছেন। আমাকে যেতেই হবে। তুমি যেতে না চাও, যেও না, এখানেই থাকি ; আমি একাই যাব । হরিশ গাড়োয়ান আমলাবেড়ে গ্ৰাম চেনে। সেখানে গিয়ে তোমাদের বাড়ী খুজে নিতে আমার কষ্ট হবে না । সে আমি পারব। তুমি থাক, আমি চাল্লাম, আর দেৱী করতে পারব না, আমাকে হয় তা আজই ফিরে আসতে হবে। এই ব’লে আমি যখন ঘর থেকে বেরিয়ে যাবার উপক্রম করলাম, তখন মা, রমেশ আর চুপ ক’রে ব’সে থাকতে পারল না ; উঠে বলল-ছোড়-দা”, ব’লে দিচ্ছি, আজ। আপনার অদৃষ্ট অনেক কষ্ট আছে। যখনই যাবেন, চলুন, আমিও সঙ্গে যাই। কিন্তু আমাকে যে বিপদে ফেললেন ছোড়-দা’, তা” আমলাবেড়ে গেলেই বুঝতে পারবেন। পাড়াগা কি রকম, গরীবের সংসার যে কি, তাত জানেন না। এই ব’লে রমেশ একটা দীর্ঘনিশ্বাস ফেলল। আমি তার হাত ধ’রে গাড়ীর কাছে নিয়ে যেতে যেতে বললাম-দেখ রমেশ, তুমি কাতর হােয়ে না, নিজেকে অত তুচ্ছ মনে করে না। আমার কোন কষ্ট হবে না। আমি কলকাতা থেকে আসবার সময় মা সব ব্যবস্থা ক’রে দিয়েছেন, সব জিনিস সঙ্গে দিয়েছেন, তোমাকে বিত্ৰত হ’তে হবে না। তুমি শুধু আমার সঙ্গে যাবে নিতান্ত অপরিচিতের মত। যা’ কিছু সব ব্যবস্থা আমি করে নেব। এই ব’লে রমেশকে, বলতে গেলে টেনে নিয়ে গরুর গাড়ীতে তুললাম। গাড়োয়ানও তৎক্ষণাৎ গাড়ী ছেড়ে দিল। রমেশ গাড়ীতে উঠে কিছুক্ষণ চুপ করে ব’সে রইল, একটা কথাও বলল না। তাকে চুপ ক’রে থাকতে দেখে আমি বললাম, წაყ8