পাতা:উৎস - জলধর সেন.pdf/৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উৎস রমেশ বলল, সে তা হবেই। আমি বললাম, তুমি এখানে কবে এসেছ ? রমেশ বলল, আজই এসে ষ্টেসন থেকে সোজা আপনার কাছে এসেছি। এখানে আমার চেনা লোক কেউ নেই। কলকাতায় আমি এর আগে কখন আসি নি। রেলে একজন কলেজের ছেলের সঙ্গে আলাপ হোলো। তাকে বলতে, তিনিই আমাকে আপনার বাড়ীতে এনে দিয়ে গেলেন ; তা না হ’লে এত বড় সহরে পথ চিনে আমি হয় তা আসতেই পাবৃতাম না। আপনি কোথাও আমার থাকবার একটা স্থান ঠিক করে দেন। আমার কাছে ছ’টী টাকা আছে । তাই দিয়ে বাসা খরচ চালাতে চালাতে আপনার দয়ায় একটা কিছু ঠিক হয়েই যাবে। আমি না হয় এক বেলা উপবাসই করব। তাতে কি এই ছয় টাকায় দিনকয়েক চলবে না ? এখানে নাকি খরচ খুব বেশী লাগে, তাই আপনাকে জিজ্ঞাসা করছি। বাড়ী থেকে আর টাকা আনতে পারব না ; তা হ’লে মা আর দিদির কষ্ট হবে। রমেশ যখন এই কথাগুলো বলছিল, আমি তখন তার মুখের দিকে চেয়ে দেখলাম, ছেলেটী সত্যসত্যই সুবোধ ও বিনয়ী। তার কথা শুনে আমার বড়ই তৃপ্তি বোধ হ’ল। আমি বললাম, দেখ রমেশ, যে ক’দিন তোমার কাজকৰ্ম্ম না হয়, সে ক’দিন আমার এখানে থাকৃতে তোমার কি কোন আপত্তি আছে ? রমেশ একটু চুপ ক’রে থেকে হাতযোড় ক’রে বলল, সে কি ক’রে হবে ? শুনেছি, এখানে খরচ বড় বেশী । আমার জন্য আপনি এত খরচ করবেন কেন ? ম্নে হয় না। আপনি দয়া ক’রে আমার \S)