পাতা:উৎস - জলধর সেন.pdf/৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উৎস আমার বাবাকে নানা কাজ উপলক্ষে রতনপুরে প্রায়ই যেতে হোতো। আমাদের কুটুম্বাও দুই-চার ঘর সেখানে আছেন। তাদের ছেলেরা স্কুলে পড়ে দেখেই বোধ হয় বাবারও ইচ্ছে হয়েছিল আমাকে একটু লেখাপড়া শেখান। তাই তিনি আমাকে রতনপুরের স্কুলে ভৰ্ত্তি করে” দেন। তিনি রতনপুরেই এক কুটুম্বের বাড়ীতে আমার থাকবার ব্যবস্থা করেছিলেন । তখন আমার বয়স সাত বৎসর। প্ৰত্যহ তিন মাইল পথ যাওয়া-আসা করা আমার পক্ষে অসম্ভব বলেই বাবা এই ব্যবস্থা করেছিলেন। দুই বছরের বেশী রতনপুরের স্কুলেই পড়েছিলাম। বাবা প্ৰায়ই আমাকে দেখতে যেতেন, আর সেখানে শুনতেন। আমার মত বুদ্ধিমান ছাত্র না কি সে স্কুলে আর নাই। রতনপুরের অনেকেই বাবাকে বলতেন, তিনি যেন ঐ প্রাইমারী পৰ্য্যন্ত পড়িয়েই আমার বিদ্যা শেষ না করেন, আমাকে ভাল করে” লেখাপড়া শেখান। আমারও সেই ইচ্ছাই ছিল ; কিন্তু বাবাকে কোনদিন সে কথা আমি বলি নি । এই সময় একদিন মেদিনীপুরের হরেন্দ্ৰবাবু রতনপুরে তার এক আত্মীয়ের বাড়ী কয়েক দিনের জন্য আসেন। আমার বাবাও সেই সময় সেখানে ছিলেন। বাবার সঙ্গে হরেন্দ্ৰবাবুর পরিচয় হয়। তবে জানেন কি মা, হরেন্দ্ৰবাবু হলেন লেখাপড়া-জানা ভদ্রলোক, কায়স্থ, মেদিনীপুরের একজন সন্ত্রান্ত লোক ; আর আমার বাবা আমলাবেড়ের এক চাষা, লেখাপড়া জানেন না। এ দুইজনের মধ্যে বন্ধুত্ব জন্মান হতে পারে না-অবস্থাই যে অন্য রকম। কিন্তু আমার বাবা বলেই বলছি নে ; আমার বাবা লেখাপড়া জানতেন। না, নিজ হাতে চাষই না হয় করতেন ; কিন্তু লেখাপড়া জানা ভদ্র b"