পাতা:উৎস - জলধর সেন.pdf/৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উৎস থাকতে হবে দেখছি। তুই যে রকম তাড়াতাড়ি এখন থেকেই আরম্ভ করলি, তাতে বেচারীরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়বে। বাবু বললেন, তা” বোমা, তোমরা আজ একটু শীগগির করেই সব শেষ করে’ এস না । দীনেশ যখন ধরেছে, তখন তোমরা বিলম্ব করলে ওর তাড়ায় সবাইকে অস্থির হতে হবে । মা বললেন, তা হ’লে আমরা এ বেলা না হয় নাই খেলাম। আমরা যে খাবার সময় দুটাে সুখ-দুঃখের কথা বলি,ঘর-গেরস্থালীর কথা বলি। ছোড়-দা’ বললেন, আহ, এক দিন না হয় সে মামুলী আলোচনা বন্ধই থাক না । বড়-বৌদিদি বললেন, বেশ, তাই হবে। এখন দেড়টা বেজেছে ত। আমরা ঠিক কঁাটায় কঁাটায় সওয়া দুটায় বাবার ঘরে হাজির হব । কেমন মা ? মা বললেন, বেশ তাই হবে। যে কথা, সেই কাজ। ঠিক সওয়া দুইটার সময় সবাই বাবুর ঘরে হাজিরা। বাবু কোন দিনই দিনে ঘুমান না ; খেয়ে উঠেই বই নিয়ে বসেন । আজ আর বইও হাতে নিলেন না-ইজিচেয়ারে বসে’ প্ৰতীক্ষা করতে লাগলেন । তঁাদের এই আগ্ৰহ দেখে আমার ভারি লজ্জা করতে লাগল। আমার এমন কি কথা, যা’ শোনবার জন্য এরা এমন আগ্ৰহান্বিত হয়েছেন। গরীব চাষী গৃহস্থের ছেলের জীবন-কথার মধ্যে এমন কি-ই বা থাকতে পারে, আমি ত ভেবে পেলাম না। সবাই বাবুর ঘরের মধ্যে এসে যে যেখানে পারলেন বসে।” পড়লেন। ছোড়-দা’ বললেন, শোন রমেশচন্দ্ৰ, এই মাসিক-পত্রগুলোর O