পাতা:ঊনপঞ্চাশী - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্ট সাত্বিক লক্ষণ

  • তা, বৈকুণ্ঠে যেতে তোমার এত আপত্তিই বা কেন ?” পণ্ডিতজী বললেন-"বাঃ! প্ৰথমেই তা বৈকুণ্ঠে ঢুকৃতে-না- ঢুক্‌তে চতুভূজ হয়ে যেতে হবে। দুটাে হাতের খাটুনিই খেটে উঠতে পারিনে, তা আবার চারটে হাত । আর ভগবান যে সিংহাসনে বসে” আছেন, তার চারদিকে পার্ষদের যে ধূপ-ধূনা, গুগগুলোর ধোঁয়া দিয়ে রেখেছেন তা চোখে লাগলেই তা অন্ধকার তার ওপর রাত নেই, দিন নেই, শঙ্খ, ঘণ্টা, কঁাশর, আরতি লেগেই আছে । বড় বড় ভুড়েল ভক্তেরা চারদিকে চামর দোলাচ্ছে, আর ঐ নারদ বাপজীবন কেবল সংস্কৃত শোলোক আউড়ে আউড়ে ঘুরচেন। দৈত্য-কুলের প্ৰহলাদ থেকে আরম্ভ করে” হনুমান দাস বাবাজী পৰ্য্যন্ত যত সব ভক্তেরা মরে” বৈকুণ্ঠে গেছেন সবাই হয়। হাত জোড় করে দাড়িয়ে স্তবন্ততি পাঠ করছেন, নয়। ত লম্বা হ’য়ে পড়ে পড়ে। नाiP রগড়াচ্ছেন । বাপ ! আর আমার বৈকুণ্ঠে পার্ষদ হয়ে কাজ নেই। ঘণ্টা কতক ঐ রকম হাত জোড় করে” দাড়িয়ে থাকতে হলেই, হয় আমার নারদের দাড়ী ধরে টান মরুবার প্রবৃত্তি হবে, নয় তা গড়পুরের নাকটা ধরে” আরও ইঞ্চি কতক লম্বা করে” দিবার ইচ্ছে হবে ।”

তাই ত; পণ্ডিতজী, বৈকুণ্ঠের এমন হুবহু নক্সা পেলে কোথা থেকে ?” পণ্ডিতজী হেসে বললেন,-“দাদা, তোমরা থিমুকেলি সোসাইটির লোক, আর এই খপরটা রাখ না। একেবারে লেডবিটারের বইগুলো হাতড়ে দেখো দেখি, ভূতলোক, প্রেতলোক