পাতা:ঊনপঞ্চাশী - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

9. উনপঞ্চাশী কে-একজন মহাপুরুষ তার আশ্রমে ছেলেদের ভাতের বদলে কচু খেতে দেন। ব্ৰহ্মতত্বের সঙ্গে কচুতত্বের নিশ্চয়েই নব একটা ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ আছে। ভাতের বদলে কচুটা চালাতে পারলে এই অল্পসমস্যার দিনের আমাদের ইহকাল পরকাল দুইরক্ষা হয়। গিন্নি কচুর মহিমা একেবারেই বুঝতে পরলেন না ; আমাকে একটা পুড়িয়ে খেতে দিতে রাজী হলেন মাত্র। এমন বুদ্ধি না হলে আর শাস্ত্র ওদের বেদ পড়াতে নিষেধ করবেন কেন ? যাই হোক, ইহকাল পরকালের সমন্বয় কি করে” করা যায়, এ বিষয় নিয়ে গভীর চিন্তায় মগ্ন আছি। এমন সময় খেলো হুকোটী হাতে করে” বুদ্ধির গোড়ায় ধোয়া দিতে দিতে পণ্ডিত হৃষীকেশ এসে হাজির ৷-“কি ভায়া, কড়িকাঠের দিকে চেয়ে টিকটিকির -ল্যাজনাড়া দেখতে দূেখতে কি জ্ঞান সঞ্চার করা হচ্ছে ?” আমি বললাম-“পণ্ডিতজী, মহা মুস্কিলে পড়েছি। সাত টাকা -সাড়ে ছ। আনা পুজি নিয়ে তা আর সস্ত্রীক সংসারধৰ্ম্ম করা চলে না। আর গিরির কেমন বদ অভ্যাস-পৌনঃপুনিক দশমিকের মত বছর বছর বংশবৃদ্ধি করেই চলেছেন। এ পরাধীন দেশে ও-কাৰ্য্যটা যে একটা মহাপাপ, এ সম্বন্ধে মহাত্মাদের মতামত সব শুনিয়ে দিলুম, তা বোঝবার নামুটি নেই। মাষ্টারী করে” ত আর চলে না ; ছোড়াগুলো বলে ব্যবসাঁফালৰ আরে, বিনা মূলধনে এখন কি ব্যবসা চালাই ?” পণ্ডিতজী একটু হেসে বল্পেন-“এটা আর মাথায় এলো না ! এ ধৰ্ম্মের দেশে আর কি ব্যবসা -ধৰ্ম্মের ব্যবসা চালাও ৷”