পাতা:ঊনবিংশতি সংহিতা.pdf/৫০৭

বসিষ্ঠসংহিত । যমেব বিদ্যাচ্ছচিমপ্রমত্তং মেধাবিনং ব্রহ্মচর্যোপপন্নম্। যন্তে তাড়ক্রহেৎ কতমচ নাহং তস্মৈ মাং ব্রুয়ান্নিধিপায় ব্রহ্মন। ইতি দহত্যগ্নিৰ্যথা কক্ষং ব্রহ্ম ত্বদমনাদৃতম্। ন ব্ৰহ্ম তম্মৈ প্রক্ৰয়াচ্ছক্যমানমকৃস্তত ৷ ইতি ষট্ কৰ্ম্মণি ব্রাহ্মণস্যধ্যয়নমধ্যাপনং যজনং যাজনং দানং প্রতিগ্রহশেতি । ত্রণি রাজস্যস্বাধ্যয়নং যজনং দানং শাস্ত্রেন চ প্রজাপলিনং স্বধৰ্ম্মস্তেনজীবেৎ । এতম্ভেব ঐণি বৈশ্বাস্য কৃষিবাণিজ্যপাশুপাল্যকুসীদঞ্চ । এতেষাং পরিচর্য্যা শূদ্ৰস্য । অনিয়ত বৃত্তিরনিয়তকেশবেশীঃ সৰ্ব্বেষাং মুক্তশিখাবর্জম। অজীবতঃ স্বধৰ্ম্মেণাষ্ঠতরামপাপীয়সীং বৃত্তিমাতিষ্ঠেরন ন তু কদাচিৎ পাপীয়সীম। বৈগুজীবিকামস্থায় ম্মান-প্রদর্শন করে, তাহার। যেমন গুরুর উপকারে আইসে না ; সেইরূপ শাস্ত্রজ্ঞানও তাহাদিগকে স্পর্শ করে না। যাহাকে আপনি শুচি, অপ্রমাদী, মেধাবী ও ব্রহ্মচৰ্য্য-যুক্ত বলিয়া বুঝিবেন এবং যে ব্যক্তি, “আমি কাহারও নিকট উপদেশ পাই নাই’ বলিয়া শুরুদ্রোহ না করিবে, হে ব্ৰহ্মন! সেই নিধিরক্ষকের নিকট আমাকে ব্যক্ত করিবেন।” অগ্নি যেরূপ প্রকোষ্ঠ দাহ করে, তদ্রুপ এক বৎসর বেদাঙ্কুশীলন ত্যাগ করিলে, তাহীও ব্রহ্মতেজ বিনষ্ট করে ; সেই ব্যক্তিকে পুনরায় বেদশিক্ষা দিবে না। যে অবিচ্ছেদে বেদচর্চা করে, তাহার শক্তি অনুসারে তাহাকে বেদ শিক্ষা দিবে। -হ্রাহ্মণের ছয়ট কাৰ্য্য—যথা অধ্যয়ন, অধ্যাপন, যজন, যাজন, দান এবং প্রতিগ্রহ । ক্ষত্রিয়ের তিনটী কাৰ্য্য—অধ্যয়ন, যাজন এবং দান। শাস্ত্রাক্সসারে প্রজাপলিনও তাহার স্বধৰ্ম্ম ; তদ্বারাই জীবিকা নিৰ্ব্বাহ করবে। বৈশুজাতিরও অধ্যয়নাদি পূৰ্ব্বোক্ত তিন কাৰ্য্য, তৎবাদে কুষি বাণিজ্য কুসীদগ্রহণ এবং পশুপালন—বৈশুজাতির বৃত্তি। এই বর্ণয়ের পরিচর্য্যাই শূদ্ৰজাতির কার্য্য। এই সমস্ত শূদ্ৰজাতির বৃত্তির নিয়ম নাই, কেশরক্ষার নিয়ম নাই এবং বেশের নিয়ম নাই ; তবে কেবল মুক্তশিখ হইয়া থাকিবে না। স্বধৰ্ম্মে জীবিকানিৰ্ব্বাহ না হইলে, বাছাতে পাপ না হয়, এইরূপ অপর বৃত্তি অবলম্বন করিবে ; কিন্তু ধাহাতে পাপ হয়, এইরূপ বৃত্তি কদাৰ্চ আশ্রয় করিবে না। বৈপ্তবৃত্তি অবম্বন করিয়া বাণিজ্য দ্বারা জীবিকানিৰ্ব্বাহ বfরতে হইলেও 8ሕፋ পণ্যেন জীবতোহশালবণমপণ্যং পাষাণকোঁপক্ষেীমজিনানি চ তাস্তবঞ্চ রক্তং সৰ্ব্বঞ্চ কৃভাস্নং পূষ্পমূলফলানি চ গন্ধরস উদকঞ্চৌষধীনাং রস সোমশ্চ শস্ত্ৰং বিষ মাংসঞ্চ ক্ষীরং সবিকারং অপস্ত্রপু জতু অথপু্যদাহরস্তি । সদ্যঃ পততি মাংসেন লাক্ষয় লবণেন চ | ত্ৰাহেণ শূদ্রীভবতি ব্রাহ্মণঃ ক্ষীরবিক্রয়াং। গ্রাম্যপশুনামেকশফা: কেশিনশ্চ সৰ্ব্বে চারণ্যা: পশবৈা বয়াংসি দংষ্ট্ৰিণশ্চ । ধান্তানাং ভিলানাঙ্ক: । অথণপু্যদাহরস্তি । ভোজমাভ্যঞ্জনাদানাদ্যদ্বাস্তং কুরুতে তিলৈ । ক্লমিভুত: স বিষ্ঠায় পিতৃভিঃ সহ মজ্জতি । কামং বা স্বয়ং কৃষ্যোৎপাদ্য তিলনি বিক্রণীরন অন্তস্ত্র ধান্তবিক্রয়াৎ । রসারসৈঃ সমতে হানতো বা মিমাতব্য ন ত্বেব লবণং রসৈস্তিলতণ্ডুলপক্কশল্পং বিদ্যান্মমুষ্যাশ্চ বিহিতাঃ । পরিবর্তকেন ব্রাহ্মণরাজষ্ঠে বাদ্ধ ষান্নং নান্সাতাম্। নিম্নলিখিত কতিপয় দ্রব্য বিক্রয় করিবে না-যথা মণি-মুক্ত প্রভৃতি, লবণ, পাষাণ, কেীপ, ক্ষৌমবস্ত্র, চৰ্ম্ম, তন্তুনিৰ্ম্মিত রক্তবর্ণ বস্তু, সকল প্রকার কৃতাঞ্জ, পুষ্প, মুল, ফল, গুড়াদি, গন্ধ, জল, রস, ওষধিরস, সোমলতা, শস্ত্র, বিষ, মাংস, হস্ক, দধি প্রভৃতি তুন্ধবিকার, মিশ্ৰিত জল, রাঙ, গালা, এবং সীসা । এ বিষয়েও পণ্ডিতেরা বলেন ;– “ব্ৰাহ্মণ মাংস, গালা বা লবণ বিফয়ে সদ্যঃ পতিত হয়, আর তুষ্ক বিক্রয় করিলে তিন দিনে শূদ্রতা প্রাপ্ত হয়।” গ্রাম্যপশুদিগের মধ্যে যাহদিগের যোড়াখুর সেই একশফ অশ্ব প্রতৃতি কেশসম্পন্ন পশু, সৰ্ব্ব প্রকার আরণ্য পশু, পক্ষী, দংষ্ট্র জন্তু এবং ধান্তজাতির মধ্যে তিল,-অবিক্ৰেয় বলিয়। কথিত । এ বিষয়েও বলেন - ভোজন অভ্যঞ্জন এবং দান ব্যতীত তিল দ্বারা আর যাহা কিছু করিবে, তাহতেই কৃমি হইয়া পিতৃগণের সহিত বিষ্ঠ মধ্যে নিমগ্ন হইতে হয় ।” ধান্ত বিক্রয়ে জীবিকা নিৰ্ব্বাহ না হইলে, স্বয়ংকৃত কৃষিকার্য্যে তিল উৎপাদন করিয়া তাৎ বিক্রয় করিতেও পারে রসের সহিত সমভাবে বা নৃনভাবে রসের বিনিময় হইতে পারে ; কিন্তু রসের সহিত লবণের বিনিময় হয় না। তিল, ভঙুল বু পঞ্চায়েরও, বিনিময় হইতে পারে