পাতা:ঊর্ম্মিমুখর.djvu/১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঊর্ম্মিমুখর

হয় এই তো নীলাকাশ আছে মাথার ওপর, চারিপাশে বেষ্টন করে রয়েছে ঘন সবুজ গাছপালার ঝোপ, পাখীর ডাক আছে, বনফুলের দুলুনিও আছে— এ থেকে তো এতই আনন্দ পাচ্চি—তবে কেন মিথ্যে পয়সা খরচ করে দূরে যাই! দূর আমায় কি দেবে, এমন কি দেবে যা এখানে আমি পাচ্চিনে ? আসল কথা দুরও কিছু নয়, নিকটও কিছু নয়—প্রকৃতি থেকে আনন্দ সংগ্ৰহ করবার মত মনের অবস্থা তৈরী হয়ে যদি যায় তবে যে কেনো জায়গায় বসে দুটাে গাছপালা, একটুখানি সবুজ ঘাসে ভরা মাঠ, দুটাে বন্ত পক্ষীর কলকাকলী, বনফুলের শোভাতেই পরিপূর্ণ আনন্দ লাভ করা যায়। কাল বারাকপুরে গেলুম সকাল বেলা। দুপুরে ইছামতীতে স্নান করতে গিয়ে সত্যি বড় আনন্দ পেয়েচি । কুলে কুলে ভরা নদী, দুধারে অজস্র কাশফুল, আরও কত কি লতা ঝোপ, বর্ষার জলে সব ধনসবুজ–চক্চক কৱচে কালো কচুর পাতা, মাখম সিমের নীল ফুল ফুটেচে—একটা গাছে সাদা সাদা বড় বড় ঢোল কলমীর ফুলও দেখলুম। বৈকালে যখন খুফু, আমি আর কালে মোকাতে বনগ্রামে আসি, তখনও দেখলুম দু’ধারে গাছপালার কি অপরূপ রূপ, বনের ফুলের ঞ্চি শাত । ছকু মাঝিকে জিগ্যেসূ করলুম-ওটা কি ফুল চকু ? চকু বল্লে—কোয়ারা. খুকুকে কাশফুল দিয়ে একটা বাংল। সেন্টেন্স তৈরী করতে দিলাম। রাঙা রোদ বৈকালটা ধেমুক্ত আকাশে, নদীতীরে অপূৰ্ব্ব শাভা বিস্তার করেচে । * কাল রাত্রের ট্রেনে তাঁরতির আকাশের তল দিয়ে যখন এলুম, সেও 키5 || আজ স্কুলের ছুটী হবে । সুন্দর প্রভাতটী । আজ সকালটা বড় সুন্দর। গুরা নদীতে হাতমুখ ধুয়ে এসে বটতলায় . এসেচি– দূরে সবুজ পাহাড়শ্রেণী—সকালের হাওয়ায় একটু যেন শীতের আমেজ। কাল ঘন জঙ্গলের পথে আমরা অনেকদূর গিয়েছিলুম, পথে পড়ল দুখ সাওতালী গ্রাম। বরমডের ও কুলামাতে। আর বছর যে রাস্ত