পাতা:ঊর্ম্মিমুখর.djvu/৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তারপর কতদিন কেটে গেল—কত বিপদ, আনন্দ, দুঃখ ও আশার মধ্য দিয়ে। তখন আমরা সবাই তরুণ, The world was very young thenমামাদের তখনও বিয়ে হয়নি। এই বৈশাখে ছোট মামার বিয়ে গেল। এখন মন পরিণত হয়েচে—কত ভুল শুধরে নিতে পেরেচি, অপরের মত সহ্য করবার ক্ষমতা অভ্যাস করেচি—আমার মনে হয় জীবনে এই জিনিষটাই সব চেয়ে বড়। Intolerenc-এর চেয়ে বড় শত্র জীবনে আর কিছু নেই। ইউনিভার্সিটর আলোগুলোর দিকে চেয়ে সেই সব দিনের কথাই মনে পড়ছিল, সঙ্গে সঙ্গে আনাও পেলু পুৰ। জীবনের একটা গভীরতার দিক , আছে, সেট সব সময় আমাদের চোখে পড়ে না—এই রকম নির্জনে বসে না ভাবলে। কাল মতিলাল ও আমি ইম্পিরিয়াল লাইব্রেরী থেকে বেরিয়ে কর্জন পার্কে অনেকক্ষণ বেড়ালুম ও গল্প করলুম। মতিলাল আমার ক্লাসফ্রেণ্ড, ও কলেজ থেকে বার হয়ে কিন্তু বিবাহ বা চাকুরী করলে না, পৈতৃক কিছু টাক আশ্রয় করে আজ বোলে বছর ধরে ইম্পিরিয়াল লাইব্রেরীতে পড়চে– জানবার জন্যে যে, মানুষের আত্মা সত্যিই অমর কি না। ও বল্লে, মা মারা যাওয়ার পরে এ প্রশ্ন আমার মনে জাগে-তারপর ঢুকলুম ইম্পিরিয়াল লাইব্রেরীতে, নিজেও অনেক বই কিনেচি। বল্লুম-কি সিদ্ধান্তে উপনীত হ’লে ? ও বল্লে-মানুষের আত্মা অমর। আমার আর কোনো সন্দেহ নেই । —ত তো হোল, কিন্তু জীবনটাকে দ্যাথো এইবার । পড়াশুনো করেই জীবন কাটালে, এবার সংসার কর । জীবনের অভিজ্ঞতা কোথায় তামার ? মতিলাল বল্লে—এবার ইম্পিপিয়ার লাইব্রেরী ছাড়বে | একখানা বই লিখচি এ বিষয়ে । সেখানা শেষ হতে আর বেশী দেরি নেই। এবার ছাড়বে। তারপর ওখান থেকে ইডেন গার্ডেনে বেড়াতে গিয়ে দেখি শেরিফ, বড়লাটকে যে গার্ডেন পার্টি দিচ্চে সে উপলক্ষে বাগান চমৎকার আলো দিয়ে সুঞ্জিয়ে৮ে–গাছপালার ফঁাকে পূর্ণচন্দ্র উঠচে যখন ঝিলের ধারে ফুটন্ত নানা কুলগুলোর সামনে দাড়িয়ে আছি। ওখান থেকে গিয়ে মাঠের মধ্যে একটা