পাতা:ঊর্ম্মিমুখর.djvu/৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঝড় মাথায় মাঠের মধ্যে থাকা ভাল নয়, অথচ যাবো তার সাধি কি ! পা কি নাড়ীতে পারি ? তারপর সোদালি ফুলের-ঝাড়-দোল বনের ধার দিয়ে চুটুতে ছুটুতে এসে পৌঁছলাম আমাদের ঘাটে। সেখানে স্নান করে যখন আমাদের গুয়োথলির তল দিয়ে যাচ্চি—হাজরী জেলেণী সেখানে আম কুড়চ্চে—বড় চারার তলাতেও রথযাত্রার ভিড়। বৃষ্টি এল দেখে পালিয়ে বাড়ী এসে ঢুকলাম । সল্তেখালী আম গাছট একেবারে কেটে ফেলে করাতীর দল তক্তা তৈরী করচে । হাজারী ঘোষ রোড সেস নীলামে বাগান কিনেচে--ওই এখন তো কৰ্ত্তা। ওকি জানে সলুতেখালীর সঙ্গে আমার বাল্য জীবনের কি সম্পর্ক ! কাল বিকেলে গোপালনগরে গিয়ে হাজারীর বৈঠকখানায় অনেকক্ষণ বসে ছিলুম। তার মেয়ের বিয়ে হবে, সেখানে ফর্দ ইত্যাদি করা হচ্চে, সকলে খুব ব্যস্ত। এমন সময়ে অনেকদিন আগেকার দেখা সেই ভদ্রলোকট, হলুদিবাড়ীতে র্যর পীঠের ব্যবসা ছিল, তিনি এলেন । আজ প্রায় ১৫ বছর তার সঙ্গে দেখা হয় নি। আমি যখন কলেজে পড়তুম-ইনি তখন এই গ্রীষ্মের বন্দের সময়ই মাঝে মাঝে এখানে আসতেন ! মতি দায়ের দোকামের BBBBB BBBBB BB BB BBB BB BB BBB BBS BBB gB BBB ছিল পঞ্চাশ, এখন পয়ষট্টি । কিন্তু তখন ইনি বিদ্যোৎসাহী ছিলেন, ঘোর তাকিক ছিলেন, অনেক ব্যাপারের খোঁজখবর রাখতেন । এখন হয়ে পড়েচেম একেবারে অন্ত রকম। আর কিছুতে উৎসাহ নেই, নানারস - বাতিকগ্রস্ত হয়ে উঠেচেন। একটা প্রধান বাতিক তার মধ্যে এই দেখ গ ঘ ওঁর বিশ্বাস ঔর শরীর খারাপ হয়ে গিয়েচে আর সারবে না । আমি কত বোঝালুম, বলুন, “আপনার বয়েস হয়েচে, তার তুলনায় আপনার শরীর ঢের ভাল ; কেম মিছে ভাবৃচেন ?” ভদ্রলোকের ছেলে আমার সঙ্গে গোপালনগর স্কুলে পড়তো অনেক দিন আগে । সে ছেলেট শুনেচি মারা গিয়েচে । আমি সে কথা জিগ্যেসূ করিনি। -- ভদ্রলোক আমার সঙ্গে খানিকদূর এলেন। আমি তাকে বোঝাণ্ডে বোঝাতে এলুম। তুত তলায় স্কুলের কাটে তিনি চলে গেলেন। সন্ধ্যার শুদ্ধকার গুচি হয়েসে মাথার ওপর বৃশ্চিক উঠেচে, জল জলু করচে নক্ষত্রগুলো