পাতা:ঊর্ম্মিমুখর.djvu/৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেলা একটরি সময় এলুম কালীপদ চক্রবর্তীর বাড়ী। সেখানে কালীপদ খুব খাতির করলে। ওখান থেকে বার হয়ে আমি নামলুম চালকী। সেখানে খাওয়া দাওয়া করলুম। চালকীর পিছনের মাঠে কি ঘেটুবনের শোভা। দিদিদের বাড়ী বলে ঘটুর বিয়ের বড় মানুষি গল্প শুনলুম। সন্ধ্যার কিছু আগে বনগায়ে গিয়ে খয়রামারির মাঠে যেটুকুলের বনের মধ্যে একটা শুকনে গাছের গুড়ির ওপর কতক্ষণ বসে রইলুম। দূরে গাছের ফঁাকে চাদ উঠেচে-- মাথার ওপর চারটা তারা। মনের কি অপূৰ্ব্ব আনন্দ ! কাছে ছিল একখানা বই—বেদান্ত দর্শনের ব্যাখ্যা । সেখানে ঐ রকম স্থানে ফুটন্ত ঘেটুফুলের বনের মধ্যে বসে পড়ে যেন একটা মস্বণ অনুভূতি নিয়ে ফিরলুম। ঘোষপাড়ার দোলে এলুম অনেকদিন পরে। আজ সকালে বনগী থেকে ন’টার টেনে বার হয়ে রানাঘাটে সাড়ে দশটায় শাস্তিপুর লোকাল ধরলুম, দোলের মেলায় আসতে হ’ল বেলা সাড়ে বারোটা । ছোট মাসীম খেয়েদেয়ে ওপরে শুয়ে ঘুমিয়েছিলেন, আমি আসতে চা করে দিলেন। দুপুরের রোদে বাঁশ বাগান আমার বড় ভাল লাগে—আর এই সব বাশ বনের সঙ্গে আমার আশৈশব সম্বন্ধ। বিকেলে একটু ঘুমিয়ে উঠে দোলতলায় গিয়ে একটা বড় সাংঘাতিক ঘটনা চোখের ওপর ঘটতে দেখলুম। একজন গুণ্ড জনৈক যাত্রীর পকেট কেটেছিল, পাশেই ছিল একজন হিন্দুস্থানী ভাটিয়ার, সে যেমন ধরতে গিয়েছে, আর গুগুটি ওকে মেরে দিয়েচে ছুী। আমি যখন গেলুম, তখন আহত লোকটাকে ওদের তাবুতে এনে শুইয়েচে, খুব লোকের ভিড়। একটু পরেই সে যারা গেল। ওদিকে সেই গুণ্ডাটাকেও পুলিশে । ধরে ফেলেচে—তাকেও লোকে মেরে আধ-মরা করেচে। মেলাশুদ্ধ লেকি সন্ত্রস্ত—সবাই বলচে, এমন কাণ্ড কেউ কখনো এমন স্থানে ঘটতে দেখেনি। আমি আরও খানিকট এদিকওদিক ঘুরে ফিরে চলে এলুম। রায় বাড়ীর পাশের একটা ঘন বনের মধ্যের পথ দিয়ে ঢুকে একটা শুকনো পুকুরের পাড়ে ফুসের ওপর গিয়ে বসলুম। ফিরে যখন আসটি তখন একটা সিমুলগাছের বাকী ডালপালার পেছনে পূর্টুন্ত্র উঠ চে-স্থানট আফ্রিকা হতে পারতো, কি নির্জন, আর কি ভীষণ জঙ্গল-বাংলাদেশের গ্রামে এমন জঙ্গল আছে, না দেখলে কেউ বিশ্বাস করবে ? কি মহিমময় দৃশ্ব সেই উদীয়মান পূর্ণচন্দ্রের