পাতা:ঊর্ম্মিমুখর.djvu/৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঊর্ম্মিমুখর

বদ্ধ হাওয়ার মধ্যে থেকে মনটা ইপিয়ে উঠেছিল, এইবার এসে আকাশের দিকে মুক্ত বহুদুর নাক্ষত্রিক জগতের দিকে সেটা ছড়িয়ে দিয়ে বাচলু্য। ছাট থেকে এসে কুঠার মাঠে বেড়াতে গেলুম। বেলা খুব পড়ে গিয়েচে । আমাদের দেশে গ্রীষ্মকালের নিৰ্ম্মেধ অপরাহ্নের শোভা এত সুন্দর যে যার অভিজ্ঞতা নেই তাকে ঠিক বোঝানো যাবে না। এই অপরূপ সৌন্দর্য্যলাপেল মধ্যে বসে কত কথাই মনে আসে । হাজার বছর কেটে যাবে-এই রঙিন মেঘমালা, এই গায়কপাখীর দল, এই সব নরনারী, গাছপালা—কোথায় ভেসে যাবে কালস্রোতে ; কিন্তু মানুষ তখনও থাকবে। নতুন ধরণেব কি রকম মানুষ’আসবে, কি রকম হবে তাদের সভ্যতা, কি জ্ঞানের আলো তারা পৃথিবীতে জেলে দেবে--এই সব ভাবি ৷ নদীতে স্নান করতে নেমেচিচ পুট দিদি তখনও ঘাটে। বৃশ্চিক রাশির একটা নক্ষত্র খুব জল জল করচে। নদীর ওপারে সাই বাবল গাছগুলোতে অস্তদিগন্তের রঞ্জী মায় আলো পড়েচে । সারা রাত কাল আম কুড়িয়েচে লোকে লণ্ঠন ধরে। আমার মাঝে মাঝে ঘুম ভাঙে, মাঝে মানে দেখি সবাই আম কুড়ছে। কাল করুণার সঙ্গে আঘাইপুরে গেলুম যেমন প্রতি বৎসর যাই । করুণার মায়ের মুখে সেখামের গল্প শুনে বড় তৃপ্তি পাই । সহায়হরি ডাক্তারের দ্বিতীয়বার বিবাহের কথা আবার শুনলুম। সে এক করুণ কাহিনী। তারপর শুনলুম মধু মুখুয্যে ও প্রেমচাঁদ মুখুয্যের বাড়ীর ডাকাতির গল্প। এ গল্প অবিশ্বি আমি ছেলেবেলায় শুনেচি, তবুও আবার ভাল করে শুনলুম। করুণাদের বাড়ীর অতিথি সেবা ও তার বাপেপ টাকা ওড়ার গল্প বড় মজার । টাকা আদায় করে নিয়ে আসছিল গোমস্ত । ২৫০ টাকার হিসেব দিলে না ; বল্পে, কৰ্ত্ত মশায়, মাঠে ঝড়বৃষ্টি হয়েছিল, টাকাগুলে উড়ে গিয়েচে, আর পেলুম না। ওর বাবা তাদের রেহাই দিলেন। মরবার আগে সবাইকে ডেকে বন্ধকী থৎ ছিড়ে ফেরেন। ওঁর ছেলের কার নামে নালিশ কর্তে যাচ্ছিল, করুণার ম! বরেন—শোন, তা তো হবে না, কর্তা বারণ করে গিয়েচেন মরবার সময়ে। ওদের পীড়ণ করতে পারবে না। যা দেয়,