পাতা:ঊর্ম্মিমুখর.djvu/৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

,উৰ্ম্মিমুখর ه به সেও পাকে চক্রে ঐ মূর্তির কথাই ভাবে, শেষে ভালবাসা এসে পড়ে মনে কোন অলক্ষ্য দ্বারপথ বেয়ে। কলকাতা শহরের একটা অদ্ভুত রূপ আছে, যেটাকে দেখতে হোলে বিকেল ছ’টা থেকে রাত এগারোটা পৰ্য্যন্ত জনবহুল স্কোয়ার, সাধারণ পার্ক, সিনেমা, থিয়েটার, ভাল ক্লাব প্রভৃতি ঘুরে বেড়ানো দরকার। কোনো পার্টতে গিয়ে স্থাণুবং অচল হয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটিয়ে দিলে শহরের এ ঐশ্বৰ্য্য, রূপ হারিয়ে ফেলতে হয় । এক জায়গায় বেশীক্ষণ থাকলে হয় না— ট্রামে বা বাসে ঘুরে বেড়াতে হয়, মোটর যদি না থাকে। আলো না জাললে শহরের রূপ খোলে না। আজ ভোরে বেরিয়েছিলুম একখান ট্রামের all day ticket কেটে। কারণ নানা জায়গায় ঘুরতে হচ্চে, রবিবার ভিন্ন সুবিধে হয় না । কমলাদের হোটেল হয়ে মণীন্দ্রলালের ওখানে গিয়ে দেখি পুরে আড় বসেচে–পরেশ সেন দিলেনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করচে, ভূপতি, মহিম, নরেনদা সবাই উপস্থিত। সেখানে ঠিক হোল ওবেলা ছ’টার সময় ‘বিজলী’তে সবাই মিলে ‘She" দেখতে যাওয়া হবে । মণিবৰ্দ্ধনের নাচ হবে আজই ইন্‌ষ্টটিউটে, আমায় মণিবদ্ধন একখানা কার্ড দিয়েচে সেকথা বল্লুম। ওরা উড়িয়ে দিলে। তখন ঝম্ ঝম্ বৃষ্টি মামলু। সেই বৃষ্টি মাথায় ট্রামে ও বাসে র্যাংরগাছি গিয়ে পৌছই ননীর বাড়ী। ননীর বাসা বদলে আর একটা বাড়ীতে এসেচে । i বিজলী’ভে এসে দেখি শুধু পরেশ সেন এসেচে। একটু মণীন্দ্র ও ভূপতি এল। আমরা সবাই ফিল্ম দেখলুম। বিজলী'তে এমন একটা atmosphere আছে সেখানে বসে ফিল্ম দেখে সুবিধে ছয় না। , ভাল সঙ্গ, ভাল পারিপার্থিক অবস্থা ভিন্ন যেখান সেখানে বসে, ছবি বা থিয়েটার বা যে কোনো আমোদ-প্রমোদ ভাল লাগে না । আলোকোজ্জ্বল প্রেক্ষাগৃহ, সুবেশ তরুণীর দল, পরিপাটি আসন-এ সবের খুব বড় একটা স্থান আছে ছবি বা থিয়েটার দেখাতে । ওখান থেকে বেরিয়ে ট্রামে আলিপুর ও খিদিরপুর হয়ে বাসায় ফিরলুম। পথের বৃষ্টিস্নাত গাছপালার ওপর তাওলা পড়ে বেশ দেখতে হয়েছে, কার্জন পার্কে ফুল ফুটে আছে, নরনারীর চিত্র-বেশ লাগল। কলকাতার এই প্রমোদসজ্জা