পাতা:ঊর্ম্মিমুখর.djvu/৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উৰ্ম্মিমুখর - yరి কমনীয় কান্তি, তেমনি গলার সুর ও গান ! হায় কামাখ্যা, তুমি এখন কোথায় তাই ভাবি। সে ভাল লেখাপড়া শেখেনি, থিয়েটার করে বেড়াতে, বোধহয় বি-এ পাসটাও করেছিল। কোনো পাড়াগায়ে এতদিন ছেলেমেয়ে পরিবৃত হয়ে দাবাপাশ ও দলাদলির চর্চা করচে। এখন তার মনের সে স্কৃত্তি নেই, চোখের জলুল কমেচে, চুলে পাক ধরেচে, মুখশ্রীর সে কমনীয়তা আর নেই। এখন যে নীহারিকার পার্ট করলে, সে । ছেলেট সে সময়ে হয়তো ছিল তিন চার বছরের শিশু । ‘মানময়ী গার্লস স্কুল’ দেখতে দেখতে হঠাৎ আজ কামাখ্যার কথা মনে পড়ল কেন কি জানি। একদিন মাত্র কলকাত থেকে বেরিয়েচি অমনি কি ভালই লাগচে । আজ সকালে উঠে অশোক গুপ্তের বাড়ী গেলুম, সেখান থেকে খেয়ে দু’জনেই যতীশ বাবুদের গাড়ীতে গ্রে স্ট্রীট দিয়ে, স্ট্রাণ্ড রোড দিয়ে হাওড়া স্টেশনে। বসুমতীর সেই পুরোনো বাড়ীটা, বাবার সঙ্গে যেখানে বল্যে একদিন এসেছিলুম, সেটা সেই রকমই আছে। কুসুম বলে বালে যে মেয়েটিকে জানতুম, এখন সে বুড়ী হয়েচে, ছেলেবেলায় আমায় তার ছেলের মত ভালবাসতে, সে থাকে কাছেই ওই বাড়ীটাতে। ট্রেণে ভিড় নেই, কারণ পূজোর সময় তো আর নয়। দিব্যি আরামে বেঞ্চিতে বিছানা পেতে নিলুম। সাৎরাগাছি স্টেশনে উঠলো কিশোর কাকার ছেলে সন্তোষ, তাকে উঠিয়ে দিতে এল জীবন। আজ দিনটা বাদলা, জোলে৷ হাওয়া দিচ্চে। কোলাঘাটে রূপনারায়ণের কি রূপ, কুলে কূলে ভরা গৈরিক জলরাশি তীরবেগে ছুটেচে। সেই অন্তরীপ মত জায়গাটা, যেটা প্রতিবারই মনে করিয়ে দেয় পূজোর সময়, সেটা কেমন চমৎকার দেখাচ্ছে। রেলের বাধের ধারে ঘন বনঝোপে কত কি ফুল ফুটেচে । এসব গাছের নাম জানিনে। এ অঞ্চলের গাছগুলি আমার সম্পূর্ণ অপরিচিত, একমাত্র বনকলমী ফুল ছাড়া । হলদে কাপাস তুলোর গাছের বড় ফুল, ঘেটুকোল ফুলের মত বড় বড় ফুল, সাদা সাদা কুচ ফুল, আরও কত কি ! এবার জল বেজায় বেড়েচে, সব গ্রামের বাড়ীম্বরের চারিধারে জল ভৰ্ত্তি, ডোবা, বিল, পুকুর। " ، "، ه ---- به مدینه ها به ترتیه برسر