পাতা:ঋগ্বেদ সংহিতা - চতুর্থ অষ্টক.pdf/৮১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

सृशिक। অষ্টম অষ্টকে দশম মণ্ডলের শেষ অংশ আছে। ঋগ্বেদ সংহিঙt এই খানে সমাপ্ত হইল। দেশম মণ্ডলের অনেকগুলি স্থত্ত যে অপেক্ষাকৃত আধুনিক, } wo আমরা ঐ মণ্ডলের প্রথম অংশ দেখিয়াই বিদ্ৰেচনা করিয়াছিলাম ) পরলোকের মুখের বিস্তীর্ণ বিবরণ, পিতৃলোকদিগের বিবরণ, যম ও যমী সম্বন্ধে বিস্তীর্ণ বিবরণ, অস্ত্যেষ্টিক্রিয়ার মন্ত্র, প্রভৃতি বিষয়গুলি দেখিলে এ বিষয়ে সন্দেহ থাকে না। পাঠক সপ্তম অষ্টকের ভূমিকা দেখুন। দশম মণ্ডলের শেষ অংশটা দেখিলেও সেই মত স্থিরীকৃত হয়। ঋগ্বেদের প্রথম নয় মণ্ডলে যে সকল বিষয় আলোচিত হয় নাই, অথবা প্ৰ অতি সংক্ষেপে উল্লখিত ইয়াছিল, এই দশম মণ্ডলের শেষ ভাগে তাছার বিস্তীর্ণ বর্ণনা ও আলোচনা পাওয়া যায়। ঋষিগণ কেবল যে “বিশ্বকৰ্ম্ম৷” বা " প্রজাপতি' বু" পুৰুষ" নামে এক ঈশ্বরের অনুভব গ্রহণ করিতে ਮੇਂ হইয়াছেন তাছা নছে, তাহারা জীবাত্মা ও পরমাস্ত্র সম্বন্ধে অনেক আলোচনা করিয়াছেন, এবং স্মৃষ্টি সম্বন্ধেও অনেক বিবরণ দিতে সাহস করিয়াছেন , ফলতঃ বেnান্তে, অর্থাং উপনিষদে যে ৰৈজ্ঞানিক আলোচনা দেখিতে পাই, তাহার প্রথম উৎপত্তি-এই দশম মণ্ডলের শেষ ভাগে পাওয়া যায় ।) ইেহার আধুনিক্লত্বের আর একটা লক্ষণ দেখা যায়। ঋত্বিক ও স্তোতাসম্প্রদায়ক্রমে চিন্তাশীলতার পরিচয় দিতে লাগিলেন বটে, কিন্তু - তাহাদিগের প্রাধ্যান্যের সক্তি জনসাম্জের ধৰ্মভীৰুতার রfদ্ধ_&ইতে লাগিল। এই দশম মণ্ডলের শেষ ভাগে যে সপত্নীদমন মন্ত্র, গর্ভসঞ্চার মন্ত্র, পেচক ডাকের অমঙ্গল নাশের মন্ত্র, পীড়া আরোগ্যের মন্ত্র, প্রভৃতি বালকোচিন্ত, সুব্ৰুগুলি দেখিতে পাই, তাছাতে জল সাধারণের ধৰ্ম্মভীৰুতা ও চিন্তাশক্তির অবনতি অনুভূত হয় ।) একটা বিষয়ে পাঠককে সতর্ক করা উচিত । আমরা দশম মণ্ডলের অনেকগুলি যুক্তকে অপেক্ষাকৃত আধুনিক বলিয়াছি। এই আধুনিক বক্তগুলিও অন্যান শাস্ত্রের সহিত তুলনা করিলে অতি প্রাচীণ অপেক্ষীs .