পাতা:এই কি ব্রাহ্ম বিবাহ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৬

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।

(৪)

ইচ্ছা করিলেন। ঐ পত্র ২৩ ফাল্গুণের সমালোচকে এবং ১১ই এপ্রেলের “ব্রাহ্ম পবলিক ওপিনিয়নে” প্রকাশ হইয়াছে। পাঠক গণকে অনুরোধ করি, পত্রখানি পড়িয়া দেখিবেন আনন্দ মোহন বাবু কিরূপ সদ্ভাবের সহিত পত্রখানি লিখিয়াছিলেন। এতদ্ভিন্ন ১৯ ফেব্রুয়ারি শিবচন্দ্রদেব প্রভৃতি আবার কেশব বাবুকে আর এক খানি বিনয়পূর্ণ পত্র লেখেন। কেবল তাহাও নহে ঐ সময়ে বাবু উমেশ চন্দ্র দত্ত প্রভৃতি কয়েক জন গণ্য ব্রাহ্ম কেশববাবুর অভিপ্রায় জিজ্ঞাসা করিয়া আর এক পত্র লেখেন। ইহার কোন পত্রের উত্তর দেওয়া হয় নাই। কেশব বাবু আনন্দ মোহন বাবুর পত্রের উত্তর দিয়াছেন কিন্তু শুনিতে পাওয়া যায় তাহা গোপনীয় বলিয়া দিয়াছেন এবং তাহাতে তাঁহার নিজের অভিপ্রায় কিছুমাত্র প্রকাশ করেন নাই। পাঠকগণ বলুন দেখি—ইহা দেখিয়া এরূপ বলা যায় কিনা যে কেশববাবুর মনের অভিপ্রায় জানিবার জন্য যথেষ্ট চেষ্টা করা হইয়াছে। আর কেশববাবুরই বা একি ব্যবহার! তিনি এত বড় একটী কার্য্য করিতে গেলেন একবার স্বদলস্থ লোকদিগকে একটা কথাও বলিলেন না; বার বার জানিতে যাওয়া গেল কথা কাটাইয়া দিলেন; প্রার্থনা করা গেল প্রার্থনা পত্র অবহেলা করিয়া অপমান করিলেন। এই কি আচার্য্যের ব্যবহার!!!

 ২। প্রচারকদ্বয় বলেন;—“এ বিবাহের কতকগুলি ব্যাপারে যদি অপর কেহ দুঃখিত হইয়া থাকেন তাহা হইলে ইহা জানা কর্ত্তব্য যে তাঁহার হৃদয় তৎসম্বন্ধে সর্ব্বাপেক্ষা অধিক