পাতা:এই কি ব্রাহ্ম বিবাহ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৭

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।

(৫)

ব্যথিত হইয়াছে। অনুষ্ঠানটী সম্পূর্ণরূপে তাঁহার নিজের ইচ্ছানুরূপ হয় নাই, এজন্য তিনি মনের অসন্তোষ কখন সংগোপন করেন নাই। যদি কিছু অন্যায় ঘটিয়া থাকে তাহা অন্য লোকে বিবেকের অনুরোধে যেমন অন্যায় বলিয়া প্রতিবাদ করিবেন তিনিও সেইরূপ মুক্ত কণ্ঠে অন্যায় বলিতে প্রস্তুত।” এই বিবাহ সম্বন্ধে ব্রাহ্মদিগের দুইটী ক্ষোভের কারণ ঘটিয়াছে (১) বাল্য বিবাহ দোষ (২য়) পৌত্তলিকতা দোষ। প্রতাপ বাবুগৌর বাবুত এদুটীই অস্বীকার করিয়াছেন। তাঁহাদের পত্রের শেষ ভাগে এক স্থলে তাঁহারা বলিয়াছেন;—“বাস্তবিক উক্ত বিধির মূল তাৎপর্য্য এই যে যৌবনারম্ভই কন্যার উপযুক্ত বয়স। এ নিয়ম বর্ত্তমান বিবাহে পূর্ণ হইয়াছে। সুতরাং কেশব বাবু আপন কন্যার বয়স সম্বন্ধে পূর্ব্ব বিশ্বাসের বিরুদ্ধ ব্যবহার করেন নাই। দ্বিতীয়তঃ পৌত্তলিকতা সম্বন্ধে যে অভিযোগ তাহাও অমূলক”। জিজ্ঞাসা করি তবে কেশব বাবু দুঃখিত কেন? যদি বাল্য বিবাহের দোষ নাই, পৌত্তলিকতা দোষ নাই তবে কেশব বাবুর দুঃখের কারণও নাই?

 ৩। প্রচারকদ্বয় বলেন;—“কিন্তু তিনি ধনলোভে পৌত্তলিক অনুষ্ঠান করিয়াছেন অথবা বাল্য বিবাহ দিয়াছেন কিম্বা পুনরায় হিন্দুসমাজভুক্ত হইবার চেষ্টা করিয়াছেন এরূপ নীচ ও জঘন্য অপবাদের আমরা সকলেই বিরোধী।” এ কথা কে বলিল? আমরাও এরূপ অপবাদের বিরোধী।

 ৪। তাঁহারা পরে বলিতেছেন;—“সর্ব্বপ্রথমে ইহা বলা আবশ্যক যে আচার্য্য মহাশয় বিবেকের আদেশে এই কার্য্যে