পাতা:এক নজরে ইসলাম.pdf/১২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
এক নজরে ইসলাম
১২৩

আজকের বিজ্ঞানের যুগে, টেলিফোন মারফৎ স্ত্রীকে তালাক’ শব্দ শােনালেও সঙ্গে সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। শুধু তাই নয়, উপরিউক্ত ইসলামিক পার্সোনাল ল’ বাের্ডের নিয়ম অনুসারে স্বামী যদি একটি পােস্ট কার্ডে তিনবার তালাক লিখে পাঠায় তবে সেই পােস্ট কার্ড স্ত্রীর হাতে পৌছানাে মাত্র বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যাবে।

যাই হােক, এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে গিয়ে এ আই এম পি এল বি’-র সেক্রেটারি সৈয়দ নিজামুদ্দিন বলেন, ভবিষ্যতে নিকাহনামায় দার-উলকাজা বা কাজির হস্তক্ষেপ-এর বিধান রাখা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মতানৈক্য হলে কোন একজন কাজিকে মধ্যস্থতাকারী নিযুক্ত করার ব্যবস্থা থাকবে। তিনি আরও বলেন যে, গুজরাট, অন্ধ্রপ্রদেশ, রাজস্থান, তামিলনাড়ু ও উত্তরপ্রদেশে এবং আরও কিছু রাজ্যে দার-উল-কাজা ইতিমধ্যে চালু করা হয়েছে। তা ছাড়া অনেক রাজ্যে চালু করা হয়েছে তালাক-এ সুন্নৎ, যার ফলে একই সঙ্গে তিনবার তালাক বললে বিবাহ বিচ্ছেদ হবে না। প্রতিমাসে একবার করে তিন মাসে তিনবার তালাক বললে তবেই বিবাহ বিচ্ছেদ হবে। তবে এ সব কথা শুধু মুখের কথা মাত্র এবং কার্যক্ষেত্রে এসবের কোন ভূমিকা নেই বললেই চলে। সৈয়দ নিজামুদ্দিন আরও বলেন যে, শিয়া-সুন্নী ছাড়াও মুসলমানদের মধ্যে নানান দল উপদল রয়েছে। তাই তালাকের মত একটা বিতর্কিত বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া খুবই অসুবিধাজনক।

প্রখ্যাত মুসলমান বুদ্ধিজীবী আসগর আলি ইঞ্জিনিয়ার একটি প্রবন্ধে (Islamic Voice-July, 2004) বলেন, “এই বিশ্বে একমাত্র ইসলামই সর্ব প্রথম নারী জাতিকে পুরুষের সমান অধিকার দিয়েছে এবং কোরান সর্বপ্রথম নারী ও পুরুষের ভেদাভেদকে অস্বীকার করেছে। প্রত্যেক মুসলমান বুদ্ধিজীবীকেই এইসব কথা বলতে হয়, কারণ তা না হলে তার গানের বিপদ দেখা দেবে। সেই একই কারণে কলকাতার লেখক জনাব রফিকুল্লাহ বলেন, প্রকৃতপক্ষে নারী জাতিকে মর্যাদাদানই হল হজরৎ মহম্মদের সংস্কারমূলক কর্মগুলির অন্যতম। কিন্তু যে কেউ ইসলামি শাস্ত্র কিছুটা অধ্যয়ন করলেই দেখতে পাবেন যে, নারী জাতিকে মর্যাদা দানের ব্যাপারে আল্লা ঘােরতর অনিচ্ছুক। কাজেই সেই অনিচ্ছুক আল্লাকে অতিক্রম করে এ কাজে মহম্মদ যে খুবই কম কৃতকার্য হবেন তাতে আর আশ্চর্য কি। মুসলিম সমাজে নারীর স্থান কোথায় তা বুঝতে অসুবিধা হয় না যখন দেখা