(বিশ্বাসীদের) মধ্যে চির শত্রুতা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি হবে, যদি তোমরা এক আল্লাতে বিশ্বাস স্থাপন না কর” (৬০/৪)। “আল্লার কাছে অবিশ্বাসকারীরাই নিকৃষ্ট জীব, কারণ তারা (কোরাণে) অবিশ্বাস করে” (৮/৫৫)। “ওরা (কাফেররা) আল্লার পরিবর্তে এমন কিছুর উপাসনা করে যা ওদের উপকারও করতে পারে না, অপকারও করতে পারে না। অবিশ্বাসীরা স্বীয় প্রতিপালকের বিরোধী” (২৫৫৫)। “মহম্মদ আল্লার রসুল। তার অনুগামীগণ অবিশ্বাসীদের প্রতি কঠোর এবং নিজেদের মধ্যে পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল (৪৮২৯)। “আমাদের মধ্যে কতক আত্মসমর্পণকারী (মুসলমান), কতক অবাধ্যচারী (কাফের)। যারা আত্মসমর্পণ করে তারা সুচিন্তিতভাবেই সৎ পথ বেছে নেয়। অপর পক্ষে অবাধ্যচারীরা তো নরকের ইন্ধন” (৭২/১৪-১৫)। “তোমাদের পিতা ও ভ্রাতা যদি বিশ্বাস অপেক্ষা অবিশ্বাসকে শ্রেয় স্নান করে, তবে তাদের অভিভাবকরূপে গ্রহণ করো না” (৯/২৩)। অর্থাৎ একজন মুসলমানের কাছে কাফের আত্মীয়রাও ঘৃণার পাত্র।
কোরাণের উপরিউক্ত আয়াৎগুলি থেকে বুঝতে অসুবিধা হবার কথা নয়। যে, ইসলাম হল চূড়ান্ত সাম্প্রদায়িক, চরম এক ঘৃণার তত্ত্ব। একমাত্র মুসলমানরাই আল্লার প্রিয়পাত্র, আর অমুসলমানরা তাঁর দৃষ্টিতে পশুর সমান ঘৃণ্য এক জন্তু বিশেষ। সেই সঙ্গে সঙ্গে আল্লা তার বান্দাদের উপদেশ দিচ্ছেন তারাও যেন ফেরদের প্রতি সমান ঘৃণা পোষণ করে। শুধু তাই নয়, আল্লা তার বান্দাদের কাফেরদের ওপর যে কোন রকমের অত্যাচার করার অধিকার দিয়ে রেখেছেন। আল্লা বলেছেন তিনি কাফেরদের মনে ভীতির সঞ্চার করবেন, তাই তার বান্দাৱা আত্মীয় স্বজনের সামনে কাফেরদের কেটে কুচি কুচি করে। কাফের রমণীদের তার স্বামী পুত্রদের সামনে বলাৎকার করে, কাফের শিশুদের আছাড় দিয়ে মারে, আরও কত কি। মদিনার ইহুদীদের মনে ত্রাসের সঞ্চার জন্য নবী মহম্মদ প্রথমে নজির ও কানুইকা গোত্রের ইহুদীদের মদিনা থেকে বিতাড়িত করলেন এবং ৬২৭ সালে কুরাইজা গোত্রের ইহুদীদের গণহত্যা করলেন। আগের দিন কুরাইজাদের ৮০০ সক্ষম পুরুষকে দিয়ে মদিনার বাজারে ৮০০ মানুষ মাটি চাপা দেবার মত বিশাল এক গর্ত খোড়া হল এবং রাত্রে একটা গুদাম ঘরে সেই ৮০০ ইহুদীকে বন্দী করে রাখা হল। ভোরে, ফজর-এর
