পাতা:এক নজরে ইসলাম.pdf/৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অবতরণিকা

 আজ থেকে বছর তিনেক আগে আমেরিকার মাটিতে ঘটে গিয়েছে ইসলামী সন্ত্রাসবাদের সর্বাপেক্ষা ভয়ঙ্কর আক্রমণ। বিগত ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর ওসামা বিন লাদেনের সন্ত্রাসবাদী দল আলকায়েদা আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরের ওয়ার্লড ট্রেড সেন্টার নামে দুখানা আকাশচুম্বী বহুতল ইমারৎ ধূলায় মিশিয়ে দেয়। মোট ১৯ জন মুসলমান জেহাদী এই কাজে লিপ্ত ছিল, যার মধ্যে ১৭ জন ছিল সৌদি আরবের নাগরিক। তারা ৪ খানা জেট বিমান ছিনতাই করে এবং তার মধ্যে দুটো বিমান দিয়ে তারা ওয়ার্লড ট্রেড সেন্টারের বাড়ি দুটোকে আঘাত করে। তৃতীয় বিমানটির সাহায্যে তারা আমেরিকার কেন্দ্রীয় সামরিক কার্যালয় পেন্টাগনকে আঘাত করে। চতুর্থ বিমানটিকে তারা আমেরিকার রাষ্ট্রপতির সরকারি বাসস্থান হোয়াইট হাউসকে আঘাত করার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু ঈশ্বরের ইচ্ছায় হোয়াইট হাউসকে আঘাত করার আগেই বিমানটি একটা জঙ্গলের মধ্যে ভেঙে পড়ে।

 যাই হোক, উপরিউক্ত ঘটনার পরে আরও অনেক ঘটনা ইতিমধ্যে ঘটে গিয়েছে। যেমন আমেরিকার আফগানিস্তান আক্রমণ ও সেখানকার তালিবান সরকারের পতন। মুসলমান সন্ত্রাসবাদীদের দ্বারা দিল্লীর সংসদ ভবন ও কলকাতার আমেরিকান সেন্টার আক্রমণ। গোধরায় ৫৯ জন রামসেবককে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার মত অত্যন্ত দুঃখবহ ঘটনা। আমেরিকার ইরাক আক্রমণ ও সাদ্দাম সরকারের পতন ঘটানো এবং বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর মুসলমান নামে পরিচিত জলাতঙ্কগ্রস্ত কুকুরদের জঘন্য আক্রমণ ও নৃশংস অত্যাচার।

 মুসলমানদের এই সব বর্বর কার্যকলাপ সমস্ত পৃথিবীর আলোকপ্রাপ্ত মানুষকেই ইসলাম সম্বন্ধে কৌতূহলী করে তুলেছে। সেই সঙ্গে সঙ্গে আমাদের দেশের হিন্দুদেরও ইসলাম বিষয়ে কৌতূহলী করে তুলেছে। তাই তাদের মধ্যে ইসলামকে জানার আগ্রহ অনেক বেড়ে গিয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল, এই সুযোগে কিছু বুদ্ধিজীবী, বিশেষ করে তথাকথিত সেকুলার ও মার্কসবাদী বুদ্ধিজীবীরা (বা দুর্বুদ্ধিজীবীরা) মাঠে নেমে পড়েছেন এবং দেশের