পাতা:এক নজরে ইসলাম.pdf/৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

মিল্লাৎ ও কুফর

মিল্লাৎ বলতে বােঝায় সৌভ্রাতৃত্ব। কিন্তু ইসলামের সংকীর্ণ অর্থে মিল্লাৎ হল মুসলমানে মুসলমানে সৌভ্রাতৃত্ব। অর্থাৎ দেশগত, ভাষাগত, সংস্কৃতিগত এবং অন্যান্য সমস্ত বিভেদ সত্ত্বেও দুনিয়ার সব মুসলমান ভাই ভাই, বা “কুল্ল মুসলেমিন ইয়াতুন”।

৬৩২ খ্রীষ্টাব্দে নবী মহম্মদ শেষবারের মত মক্কায় হজ করতে যান, যাকে “বিদায় হজ” (Farewell Pilgrimage) বলা হয়ে থাকে। সেই সময় নবী মক্কার নিকটবর্তী আরাফৎ ময়দানে একটি ভাষণের মধ্য দিয়ে ইসলামের মূলনীতি ব্যাখ্যা করেন, যাকে “বিদায় ভাষণ” বলা হয়ে থাকে। এই বিদায় ভাষণের বিষয়বস্তু ছিল তিনটি উপদেশ • (১) যদি মুসলমানরা আল্লার কোরাণ ও (২) আল্লার রসুল মহম্মদকে দৃঢ়ভাবে অনুসরণ করতে থাকে এবং (৩) প্রতিটি মুসলমান অন্য কোন মুসলমানকে ভাইয়ের মত আপন মনে করতে থাকে, তবে তাদের কেউ ধ্বংস করতে পারবে না। নবীর উপরিউক্ত ভাষণ থেকে জন্ম নিয়েছে মুসলমানদের আন্তর্জাতিক সৌভ্রাতৃত্ব বা ইসলামী উম্মা (Pan Islamism)। এই মিল্লাকে অনুসরণ করেই বাংলার একজন মুসলমান তার প্রতিবেশী বাংলাভাষী একজন হিন্দুকে শত্রুজ্ঞান করে। পক্ষান্তরে হাজার মাইল দূরের উর্দুভাষী একজন পাকিস্তানীকে আপন জ্ঞান করে।

এ ব্যাপারে আল্লা বলছেন, “হে বিশ্বাসীগণ, তােমরা আল্লাকে যথার্থভাবে ভয় কর। এবং তােমরা মুসলমান (আত্মসমর্পণকারী) না হয়ে মরাে না। এবং তােমরা আল্লার রশি দৃঢ়ভাবে ধর এবং পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়াে না। তােমাদের প্রতি আন্নার অনুগ্রহকে স্মরণ কর। তােমরা পরস্পরের শত্রু ছিলে এবং তিনি তমাদের হৃদয়ে প্রীতির সঞ্চার করেন। ফলে তার অনুগ্রহে তােমরা পরস্পর ভাই হলে।” (কোরাণ - ৩/১০২-১০৩)। | “পৃথিবীর যাবতীয় সম্পদ ব্যয় করলেও তুমি তাদের অন্তরে প্রতিস্থাপন করতে পারতে না, কিন্তু আল্লা তাদের মধ্যে প্রীতি স্থাপন করেছেন” (ঐ- ৮৬৩)। “বিশ্বাসীগণ পরস্পরের ভাই ভাই, সুতরাং তােমরা স্রাতৃগণের