ত্রিশ বৎসর বয়স পূর্ণ হবার আগেই। কেবল টুনি নন, আমেরিকার আরো কয়েকজন মুষ্টিযোদ্ধা উচ্চশিক্ষা ও সংস্কৃতির পরিচয় দিয়েছেন।
সর্বকালেই অতুলনীয় জ্যাক জনসন। শ্বেতাঙ্গরা তাঁকে কোনদিনই হারাতে পারত কি না কে জানে, কিন্তু “পৃথিবীজেতা” উপাধি ত্যাগ না করলে পাছে তাঁকে শ্বেত গুপ্তঘাতকের হাতে প্রাণ দিতে হয়, সেই ভয়ে জ্যাক জনসন দায়ে প’ড়ে জেস উইলার্ড নামে এক নিকৃষ্ট যোদ্ধার কাছে যেচে হার মানতে বাধ্য হন।
জনসন জাতে নিগ্রো এবং পেশায় মুষ্টিযোদ্ধা বটে, কিন্তু তাঁকেও অন্ততঃ বিদ্বৎকল্প বলা যেতে পারে। কারণ সাংবাদিকরা যখনই তাঁর কাছে গিয়েছেন তখন প্রায়ই তাঁর মুখে শুনেছেন দর্শনশাস্ত্রের কথা। ভারতবর্ষে উচ্চশ্রেণীর পালোয়ানদের মধ্যে গোবরবাবু ছাড়া আর কোন শিক্ষিত ব্যক্তি আছেন বলে জানি না। এখানকার সর্বশ্রেষ্ঠ দুই পালোয়ানই (গামা ও ইমাম) নিরক্ষর।
গোবরবাবু যখন দ্বিতীয় বার ইংলণ্ডে গিয়ে শ্বেতদ্বীপ জয় করেন, তখন মরিস ডিরিয়াজ নামে একজন প্রথম শ্রেণীর পালোয়ান প্যারিস শহরে একটি মস্ত দঙ্গলের ব্যবস্থা করেছিলেন এবং সেখানে কুস্তি লড়েছিলেন বহু শ্বেতাঙ্গ পালোয়ান। গোবরবাবু ও সেই দঙ্গলে যোগ দিয়েছিলেন। সম্ভবতঃ সেটা ১৯১২ কি ১৩ খৃষ্টাব্দের কথা। জ্যাক জনসন তখন শ্বেতাঙ্গ গুণ্ডাদের অত্যাচারে আমেরিকা ছেড়ে প্যারিসে পালিয়ে এসেছিলেন এবং সেই সময়ে গোবরবাবুদের সঙ্গে তাঁর আলাপ-পরিচয় হয়।
কেবল কুস্তির কৌশল নয়, পালোয়ানদের দৈহিক শক্তির উপরেও যথেষ্ট নির্ভর করতে হয়। গায়ের জোরে স্যাণ্ডো যে গামার চেয়ে বলবান ছিলেন, এমন কথা মনে করবার কারণ নেই। গোবরবাবু ও একজন মহাবলী ব্যক্তি। কিন্তু তাঁর মুখে মুষ্টিযোদ্ধা জ্যাক জনসনের সহ্যক্ষমতা ও শারীরিক শক্তির যে বর্ণনা শুনেছি, তা চমকপ্রদ ও বিস্ময়জনক।
বক্সারদের মুষ্টি আর ভারতীয় পালোয়ানদের “রদ্দা”, এ দুইই হচ্ছে ভয়াবহ ব্যাপার। যাদের অভ্যাস নেই, মহাবলবান হ’লেও বড়
১১৮