এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
এখন যাঁদের দেখছি
সুপ্রশস্ত বৈঠকখানায়, কখনো বা পেতুম দক্ষিণের দীর্ঘ বারান্দা বা দরদালানে। সেখানকার ছবি মনের ভিতরে খুব স্পষ্ট। প্রায়ই গিয়ে দেখতুম, বাগানের দিকে মুখ ক’রে গগনেন্দ্রনাথ, সমরেন্দ্রনাথ ও অবনীন্দ্রনাথ তিন সহোদর ব’সে আছেন তিনখানি আরামআসনে। গগনেন্দ্রনাথ হয়তো কোন বিলাতী পত্রিকার পাতা ওল্টাচ্ছেন, সমরেন্দ্রনাথ হয়তো কোন নাতি কি নাতিনীকে আদর করেছেন এবং অবনীন্দ্রনাথ পটের উপরে তুলিকা চালনায় নিযুক্ত। তারপর ছবি আঁকতে আঁকতেই আমাদের সঙ্গে আলাপ করতেন। একবার চোখ তুলে কথা বলেন, আবার চোখ নামিয়ে পটের উপরে বুলিয়ে যান তুলি। আলাপের সঙ্গে কলার কাজ।
ভেঙে গিয়েছে আজ ঠাকুরবাড়ীর সকল আনন্দের হাট। বুকের মধ্যে দীর্ঘশ্বাস পুঞ্জীভূত হয়ে ওঠে ব’লে সে বাড়ীর ভিতরে আর প্রবেশ করি না। ঠাকুরবাড়ী আজ নিরালা, নিস্তব্ধ।
৬