অধ্যবসায়ী লেখক। খামখেয়ালের বশবর্তী হয়ে কোন কাজে হাত দেন না, নিষ্ঠাবান ব্রতচারীর মত গোড়া থেকে শেষ পর্যন্ত একাত ভাবে নিযুক্ত থেকে ব্রত উদ্যাপন না ক’রে তিনি ক্ষান্ত হন না। তাঁর ঐকান্তিকতাই জয়যক্ত করেছে তাঁর প্রচেষ্টাকে।
কেবল “সংবাদপত্রে সেকালের কথা” নয়, প্রাচীন সংবাদপত্রের 'ফাইলে’র সাহায্যে তিনি যে “বঙ্গীয় নাট্যশালার ইতিহাস” সঙ্কলন করেছেন, সেখানিও পরম উপাদেয় গ্রন্থ। প্রচুর বাগাড়ম্বর ক’রে যাঁরা এই শ্রেণীর মস্ত মস্ত গ্রন্থ রচনা করেন, সেগুলির তুলনায় এই একখানি পুস্তক ভারে না কাটলেও ধারে কাটবে নিশ্চিতরূপেই।
তারপর তাঁর “সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা” হচ্ছে আর এক বিচিত্র ও অমূল্য নিধি। এদেশে পূর্ববর্তী সাহিত্যিকদের বা কবিদের জীবনী সংগ্রহের জন্যে সর্বপ্রথম উদ্যোক্তা হচ্ছেন কবিবর ঈশ্বর গুপ্ত। তার পরে বারে বারে এই শ্রেণীর কাজে হাত দিয়েছেন আরো বহু ব্যক্তি: কিন্তু ব্রজেন্দ্রনাথের মত আর কেহই এমন নিখুঁতভাবে কর্তব্য পালন করতে পারেন নি। তাঁর চরিত-মাল্যে ইতিমধ্যেই শতাধিক পুষ্প গ্রথিত হয়ে গিয়েছে এবং এখনও চলছে তার গ্রন্থনকার্য। এও হবে ব্রজেন্দ্রনাথের আর এক অবিস্মরণীয় অবদান।
বজেন্দ্রনাথকে ১৯৫১-৫২ খৃষ্টাব্দের রবীন্দ্র-স্মৃতি পুরস্কার দান ক’রে কর্তৃপক্ষ যথার্থ গুণগ্রাহিতারই পরিচয় দিয়েছেন। আমার পুরস্কার দেবার সামর্থ্য নেই, পুরাতন বন্ধুকে উপহার দিতে পারি কেবল আন্তরিক অভিনন্দন।
২০৭