সাধারণ দর্শকও তার দ্বারা অভিভূত না হয়ে পারবে না। এইখানেই তাঁর প্রধান বিশিষ্টতা, যা অন্য কোন ভারতীয় শিল্পীর কাজে আবিষ্কার করা সহজ নয়।
দেবীপ্রসাদ মাদ্রাজের সরকারি চিত্রবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ। তাঁর কথা সর্বদা মনে পড়লেও তাঁর সঙ্গে মুখোমুখি দেখা হবার সুযোগ আর ঘ’টে ওঠে না। তাই তিনি কলকাতায় এসেছেন শুনে কিছুকাল আগে এক সন্ধ্যায় তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলুম। ভেবেছিলুম দু’জনে একান্তে ব’সে অতীত স্মৃতির রোমন্থনে খানিকটা সময় কাটিয়ে দেব। কিন্তু তা আর হ’ল না, কারণ গিয়ে দেখলুম, তাঁর ঘরে বসে গেছে একটি সাহিত্য-সভা। উপস্থিত আছেন শ্রীবলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায় (বনফুল), শ্রীসজনীকান্ত দাস, শ্রীপ্রবোধেন্দনাথ ঠাকুর (ইনিও কবি ও চিত্রশিল্পী), শ্রীপবিত্রকুমার গঙ্গোপাধ্যায় এবং আরো কেউ কেউ। অতীতের কথা আর উঠল না, বর্তমানকে নিয়েই আলাপ-আলোচনা ও হাস্য-পরিহাস চলতে লাগল—সঙ্গে সঙ্গে পানভোজন। খাবারের পর খাবার আসে—রীতিমত দীয়তাম্ ভুজ্যতাম্। মুখ বন্ধ ক’রে ও ডান–হাতের ব্যাপার সেরে যখন বাড়ীর দিকে ফিরলুম তখন নিশুতি রাত। নির্জন, নিস্তব্ধ, নিদ্রামগ্ন শহর। দেবীপ্রসাদ অতিথি সৎকার করতেও জানেন।
২২৭