পাতা:এখন যাঁদের দেখছি - হেমেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করার সময় সমস্যা ছিল।

ভূমিকা

 গ্রন্থাকারে “যাঁদের দেখেছি” শীর্ষক আমার যে স্মৃতিমূলক নিবন্ধগুলি প্রকাশিত হয়েছে, পাঠকসমাজে তা সাদরে গৃহীত হওয়াতে আনন্দলাভ করেছি। লিখিয়েদের লিখে সুখ পড়ুয়ারা খুসি হ’লেই। অন্ততঃ আমার এই ধারণা। অপরের অন্য ধারণা থাকতে পারে। কারণ বাংলাদেশে আজকাল এমন একাধিক লেখক দেখা দিয়েছেন, যাঁদের রচনা পাঠ করলে সন্দেহ হয়, স্টিফেন ম্যালার্মি ও পল ভ্যালারি প্রমুখ ফরাসী লেখকদের মত তাঁরাও নিজেদের মনগড়া আভিজাত্য রক্ষার জন্যে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে রাজি নন্। কিন্তু আমি অভিজাত সাহিত্যিক হ’তে পারব না কস্মিনকালেও। লোকপ্রিয়তার উপরে যে আমার লোভ আছে, বড় গলায় তা বলতে পারি অসঙ্কোচে। মনের ভাব ফোটাতে চাই সরল প্রাণের সহজ ভাষায়, লোকের হয়তো তাই ভালো লাগে। অবলম্বন করতে চাই সহজিয়া পদ্ধতি।

 “যাঁদের দেখেছি”র মধ্যে ছিল আমার জীবনস্মৃতির সঙ্গে জড়িত এমন সব স্বর্গীয় সাহিত্যিক ও শিল্পীদের কাহিনী, যাঁরা সুদীর্ঘ চার যুগ ধ’রে বাংলাদেশে বিতরণ ক’রে গিয়েছেন আপন আপন প্রতিভা ও মনীষার দান। তাকে অর্ধ শতাব্দীর কলমের ছবির অ্যালবাম বলা যায়। কিন্তু সে অ্যালবামে তাঁদের ছবি নেই, আমাদের সৌভাগ্যক্রমে আজও যাঁরা মরজগতে বিদ্যমান। তাঁদেরও মধ্যে আছেন অতুলনীয় প্রতিভার বা প্রভূত শক্তির অধিকারী। তাঁদের নাম সবাই জানেন, গুণেরও পরিচয় সবাই পেয়েছেন, কিন্তু ব্যক্তিগত সম্পর্কের অভাবে আসল দুষ্পাঠ্য দূর থেকে কেহই দেখতে পান না। অথচ তা দেখবার আগ্রহ আছে সকলেরই।

 কিছুদিন আগে একখানি মাসিক কাগজে আমি লিখেছিলুম—একজন বিখ্যাত বিলাতী লেখক বলেছেন:

৴৹