অভিনয়, অদূর ভবিষ্যতেই তিনি আমাদের সাধারণ রঙ্গালয়ে প্রকাশ্য ভাবে যোগদান করবেন। মন আশান্বিত হয়ে উঠল।
সেদিনকার নাট্যানুষ্ঠানে আরো যাঁদের দেখা পাওয়া গেল, তাঁদের মধ্যেও নির্মলেন্দু লাহিড়ী, বিশ্বনাথ ভাদুড়ী, ললিতমোহন লাহিড়ী, ও রমেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় (দৃশ্য-পরিকল্পক) পরে সাধারণ রঙ্গালয়ে যোগ দিয়ে নাম কিনে গিয়েছেন। এক দলে এতগুলি গুণীর আবির্ভাব! একালে আর কোন সৌখীন নাট্য-প্রতিষ্ঠান এমন গৌরব অর্জন করতে পারেনি।
আমি তখন দৈনিক “হিন্দুস্থান” পত্রিকার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। তার পৃষ্ঠায় উচ্ছ্বসিত ভাষায় এই অভিনব শিল্পী সম্প্রদায়কে অভিনন্দন দান করলুম। তার ফলেই আমি শিশিরকুমারের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে পরিচিত হই।
অনতিবিলম্বেই “আলমগীর” নাটকের নাম-ভূমিকায় শিশিরকুমারের রঙ্গাবতরণ হ’ল ম্যাডানদের কর্নওয়ালিশ থিয়েটারে। সঙ্গে সঙ্গে যাঁরা এতদিন সাধারণ রঙ্গালয়কে বিশেষ প্রীতির চোখে দেখতেন না, সেই বিদ্বজ্জনগণ দলে দলে এসে প্রেক্ষাগৃহকে পরিপূর্ণ ক’রে তুলতে লাগলেন। যাঁরা কখনো সাধারণ রঙ্গালয়ে পদার্পণ করেননি, তাঁদেরও দেখা পাওয়া যেতে লাগল কর্নওয়ালিশ থিয়েটারে। বাংলা রঙ্গালয়ের জন্যে নূতন এক শ্রেণীর দর্শক তৈরি হয়ে উঠল।
৮৪