সীতাকে বিবাহ করেন। অর্জ্জুন, লক্ষ্য ভেদ করত দ্রৌপদী লাভ করেন। স্বয়ম্বর সভায় কন্যা, ধাত্রির নিকট সকলের পরিচয় পাইয়া ও রূপ দেখিয়া, যাঁহার প্রতি মনন করিতেন, তাঁহার গলায় বরমাল্য দান করিতেন।
রঘুবংশে ৬ষ্ঠ সর্গে ইন্দুমতীর, ও নৈষধের ২১ সর্গে দময়ন্তীর স্বয়ম্বরের বিবরণ লিখিত আছে।
পূর্ব্বে কন্যা, স্বয়ম্বর না হইয়াও ইচ্ছামত পাত্রে পাণি প্রদান করিতেন যথা—সাবিত্রী, দেবযানি, রুক্মিণী, শুভদ্রা ইত্যাদি। দশকুমারে লেখে যে, কন্যা সুশিক্ষিত হইয়া আপন স্বেচ্ছাক্রমে বর গ্রহণ করিতেন।
বিবাহ অষ্ট প্রকার ছিল।
১। ব্রাহ্ম—সুপাত্রে কন্যা দান।
২। দৈব—পুরোহিতকে কন্যা দান।
৩। ঋষি—দুইটা গরু পাইয়া কন্যা দান।
৪। প্রজাপত্য—সম্মান পূর্ব্বক কন্যা দান। পিতা এই আশীর্ব্বাদ করিতেন—বর কন্যা তোমরা দুই জনে মিলিত হইয়া ঐহিক ও পারত্রিক কর্ম্ম করিবে।
৫। আসুর—ধন পাইয়া কন্যা দান।