পাতা:এপিক্‌টেটসের উপদেশ - জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
জীবনের খেলা।
২১

সর্ব্বশ্রেষ্ঠ তত্ত্বজ্ঞানী”—অমনি তোমার মনের লেজটা দশহাত ফুলিয়া উঠিবে। কিন্তু উপস্থিত আর এক ব্যক্তি যদি বলে—“সে-সব কিছুই নয় —তার কথা শুনিবারই যোগ্য নহে, সে কি-জানে? সে তত্ত্বজ্ঞানের শুধু আরম্ভ করিয়াছে মাত্র—তার অধিক কিছুই নয়।”—অমনি তুমি বিস্ময়ে স্তম্ভিত হইবে, তোমার মুখ বিবর্ণ হইয়া যাইবে, আর তুমি বলিয়া উঠিবে “আমি তাকে একবার দেখাতে চাই, আমি কিরূপ ব্যক্তি। আমি যে একজন মহা তত্ত্বজ্ঞানী, তা আমি তাহার নিকট সপ্রমাণ করিয়া দিব।”

 যথেষ্ট হইয়াছে, আর প্রমাণের আবশ্যক নাই; তুমি কিরূপ তত্ত্ব জ্ঞানী তোমার এই কথাতেই বিলক্ষণ জানা যাইতেছে।

জীবনের খেলা।

 ১। যাহা উচিত, ও যাহা কার্য্যোপযোগী—এই উভয়ের শক্তিসন্মিলন ও ঐক্যবন্ধনই প্রকৃতির প্রধান কাজ।

 ২। বাহ্য বস্তু আমাদের উপেক্ষার বিষয়, কিন্তু বাহ্য বস্তুর ব্যবহার ও প্রয়োগ উপেক্ষার বিষয় নহে। কি করিয়া তবে, মনের অবিচলতা ও শান্তি এবং বাহ্য বিষয়ের সম্বন্ধে যত্নশীলতা—এই দুই এক সঙ্গে রক্ষা করা যাইতে পারে? কি করিয়া অনবধানতা ও অপরিপাট্য বর্জ্জন করা যাইতে পারে? অক্ষক্রীড়কদিগের দৃষ্টান্ত এইস্থলে গ্রহণ করা যাউক। পাশার “দান”গুলিও অপ্রধান, পাশার গুটিকাগুলিও অপ্রধান। আমার পাশায় কি দান পড়িবে তাহা আমি কি করিয়া বলিব? কিন্তু যে দান পড়িবে তাহার উপযুক্ত প্রয়োগ করা—ইহাই আসল খেলা। বিচার পূর্ব্বক বাহ্য বিষযসকল নির্ব্বাচন ও বিভাগ করিয়া এইরূপ বলা “বাহ্য বস্তু সকল আমার আয়ত্তাধীন নহে, ইচ্ছাশক্তিকে প্রয়োগ করাই