পাতা:এপিক্‌টেটসের উপদেশ - জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
অভ্যাস ও সাধনা।
৪১

হইলে তোমাকে কি আমি অযথাবাদী ও অবিবেচক বলিয়া মনে করিব না? আচ্ছা, বল দেখি, তুমি এ-দুয়ের মধ্যে কোন্‌টি চাও। অর্থ চাও?—না, চিরবিশ্বস্ত ধর্ম্মনিষ্ঠ বন্ধুকে চাও? যদি তোমার বন্ধুর ধর্ম্মনিষ্ঠা ও বিশ্বস্ততা প্রার্থনীয় হয়, তাহা হইলে এমন কিছু তাহাকে করিতে বলিও না—যাহা করিতে গিয়া ঐ সমস্ত গুণ সে হারাইয়া ফেলে।

 ৪। “কিন্তু আমি যে তাহলে দেশের কোন কাজ করিতে পারিব না”। দেশের কাজ কাকে বলে? তোমার সে অর্থবল নাই যে তুমি একটা পুষ্করিণী খনন করাইয়া দিবে কিংবা একটা নূতন ঘাট প্রস্তুত করিয়া দিবে। দেশ, তোমার নিকট হইতে এই সমস্ত পাইবে না, সত্য। কিন্তু তাহাতে কি? দেশ ত কামারের নিকট জুতার প্রত্যাশা করে না, কিংবা মুচির নিকট অস্ত্রের প্রত্যাশা করে না। যাহার যে কাজ সে যদি তাহা সুসম্পন্ন করে, তাহা হইলেই যথেষ্ট হইল। যদি তুমি দেশের একজনকেও ধর্ম্মনিষ্ঠ ও ভগবৎ-ভক্ত করিয়া তুলিতে পার, তাহা হইলে কি তোমার দেশের কাজ করা হইল না? অতএব “আমি দেশের কোন কাজ করিতে পারিব না”—একথা কোন কাজের নহে।

 ৫। “তাহলে, দেশের মধ্যে, কোন্ পদ তোমাকে দেওয়া যাইতে পারে?” যে পদেই আমাকে প্রতিষ্ঠিত কর, দেখিও, যেন তাহাতে আমার ধর্ম্ম, আমার ঈশ্বরভক্তি লোপ না পায়। কিন্তু দেশের কাজ করিব মনে করিয়া যদি ঐ সমস্ত পরিত্যাগ করি, যদি দেশকে অধর্ম্মে ও পাপে নিমগ্ন করি, তাহা হইলে আমা হইতে দেশের কি-কাজ হইল?

অভ্যাস ও সাধনা।

 ১। আমাদের প্রত্যেক শক্তিকে—প্রত্যেক বৃত্তিকে যদি আমরা কাজে খাটাই তবেই উহা পরিরক্ষিত ও পরিবর্দ্ধিত হইতে পারে;