প্রথম জীবনের কথা প্রদর্শন করিয়া আমি কখনই কিছু বলি নাই। ইহা সত্য যে প্রথম জীবনে আমি “প্রয়োজনবাদ” (Doctrine of Necessity) এর দিকে ঝুকিয়াছিলাম—অর্থাৎ আমি বিশ্বাস করিতাম যে মানুষের কাজ এবং বিশ্রামের পশ্চাতে একটি শক্তির প্রেরণা রহিয়াছে যাহার উপর মনের কোন নিয়ন্ত্রণ নাই ; কখনও কখনও আমি (একজন, দুইজন অথবা তিনজনের সঙ্গে— সাধারণের সমক্ষে কখনই নহে) যুক্তিদ্বারা এই মত সমর্থনের চেষ্টা করিয়াছি ; অবশ্য পাঁচ বৎসরাধিককাল এই ধরনের তর্কের অভ্যাস পুরাপুরি ত্যাগ করিয়াছি ; এবং আমি এখানে আরও বলিতে চাই যে আমি সকল সময়ই মনে করিয়াছি যে কয়েকটি খৃষ্টসম্প্রদায়ও এই মত পোষণ করিত। এই বিষয়ে আমার অভিমত সংক্ষেপে উপরোক্ত বিবৃতির মধ্যেই সম্পূর্ণরূপে নিহিত রহিয়াছে । যে ব্যক্তিকে আমি ধর্মের প্রকাশ্য শত্রু এবং নিন্দুক বলিয়া জানি তাহাকে কোন পদের জন্য কখনও অনুমোদন করিতে পারিব বলিয়া মনে করি না । স্রষ্টা এবং ব্যক্তির মধ্যে অনন্ত সম্পর্কের ফলাফলের কথা বাদ দিলেও আমি মনে করি না যে সমাজে বাস করিয়া মানুষের বিশ্বাসকে লাঞ্ছিত করা, বা সমাজের নীতিবোধের অবমাননা করার অধিকার কোন মানুষের আছে। সুতরাং যদি আমি ঐ রূপ আচরণের দোষে দোষী হাইতাম তবে কেহ নিন্দা করিলে আমি দোষ দিতাম না । কিন্তু যাহারা মিথ্যার আশ্রয়ে আমার বিরুদ্ধে এই অপবাদ প্রচার করিতেছেন, তাহারা যেই হউন না কেন আমি তাহাদিগকে অপবাদ দিতেছি । এ. লিঙ্কন জুলাই ৩১, ১৮৪৬ জনৈক আত্মীয়ের প্রতি পরামর্শ লিঙ্কন দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তঁহার পার্থিব উন্নতির ফলে আত্মীয়-স্বজন প্রায়ই ভঁাহার নিকট সাহায্যের প্রত্যাশী হইতেন এবং সাধারণতঃ তিনি তাহাদিগকে সাহায্য দিতেন। ১৮৪৮ খৃষ্টাব্দে যখন কংগ্রেসের সদস্য হিসাবে তিনি ওয়াশিংটনে ছিলেন তখন তিনি তঁাহার জনৈক শ্যালককে প্রার্থিত সাহায্যের পরিবতে' কয়েকটি বিশেষ মূল্যবান উপদেশ দেন। প্রিয় জনষ্টন ? তুমি আশী ডলারের জন্য যে অনুরোধ করিয়াছ তাহ রক্ষা করা বর্তমানে আমি সমীচীন মনে করি না। ইতঃপূর্বে আমি তোমাকে যে কয়েকবার সাহায্য করিয়াছি তখন তুমি বলিয়াছ, *এখন হইতে আমরা ভালভাবে চলিতে পারিব।” কিন্তু অল্পদিনের মধ্যেই তোমার সমস্যা পুনরায় দেখা দিত। তোমার চরিত্রের কোন দুর্বলতার জন্যই নিশ্চয় এরূপ ঘটে । সেই
পাতা:এব্রাহাম লিঙ্কনের বক্তৃতাবলী.djvu/১৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।