এব্রাহাম লিঙ্কনের বক্তৃতাবলী প্রাচীনপন্থী হুইগ । আমি সর্বদাই ইহা ঘূণা করিয়াছি ; কিন্তু নেব্রাস্কা বিল উত্থাপনের এই নূতন অধ্যায়ের পূর্বে এ বিষয়ে আমি সর্বদাই নীরব থাকিয়াছি। আমার সতত বিশ্বাস ছিল যে প্রত্যেকেই ইহার বিরোধী এবং ইহা অন্তিম বিলোপের পথে • • • • • • জাতির অধিকাংশই এই বিশ্বাসে নিরস্ত ছিল যে দাসপ্রথা অন্তিম বিলোপের পথে চলিয়াছে। এই রকম বিশ্বাসের পক্ষে কারণ ছিল । সংবিধান গ্রহণ এবং তৎসংশ্লিষ্ট ইতিহাস হইতেই জনসাধারণের মনে এই বিশ্বাস জন্মায় ; এবং সংবিধানের রচয়িতাদেরও এই রকম বিশ্বাসই ছিল । সংবিধান প্রণয়নের সময় কেন সেই সকল জ্ঞানবৃদ্ধ নির্দেশ দেন যে, যে সকল নূতন অঞ্চলে দাসপ্রথা প্রচলিত নাই। তথায় উহার প্রসার করা যাইবে না ? কেন ঘোষণা করা হয় যে কুড়ি বৎসরের মধ্যে কংগ্রেস আফ্রিকার দাসব্যবসায়, যাহার মাধ্যমে দাসদের সরবরাহ করা হইত, বন্ধ করিয়া দিতে পারিবে ? কেন এই সকল আইন পাশ হয় ? আমি এই ধরণের আরও অনেক আইনের উল্লেখ করিতে পারিতাম—কিন্তু এগুলিই যথেষ্ট । এসকল হইতে কি ইহাই বুঝায় না যে সংবিধানের প্রণেতাগণ এই ব্যবস্থার বিলোপ চাহিয়াছিলেন এবং আশা করিয়াছিলেন ? পূর্বের যে বক্তৃতা হইতে বিচারপতি ডগলাস উদ্ধতি দিয়াছেন, সেই বক্তৃতায় আমি যাহা বলিয়াছিলাম আমি পুনরায় তাহা বলিতেছি—আমি পুনরায় বালিতেছি যে যখন আমি বলি যে আমি মনে করি, দাসপ্রথার বিরোধীরা উহার অধিকতর প্রসারের প্রতিরোধ করিবে এবং উহাকে সেই অবস্থায় লইয়া যাইবে যেখানে জনগণ আশ্বস্ত থাকিবে এই বিশ্বাসে যে উহা অন্তিম মৃত্যুর পথে চলিয়াছে—তখন আমি শুধু এই কথাই বলিতে চাই যে তাহারা উহাকে সেই স্থানে রাখিবে যেখানে এই সরকারের প্রতিষ্ঠাতৃবর্গ গোড়াতে উহাকে রাখিয়াছিলেন••• দাসপ্রথা সম্পর্কে : সুবিখ্যাত অংশ লিঙ্কন প্ৰায়ই র্তাহার মনোভাব কাগজে লিপিবদ্ধ করিতেন ; তঁাহার স্মারকলিপির অনেকগুলি অংশ সংরক্ষিত হইয়াছে। যেটি সর্বাপেক্ষা অধিকবার উদ্ধত হইয়াছে সেটি ১৮৫৮ সালের আগষ্ট মাসে লিখিত হইয়াছিল ललिश। भgन कब्र। श्श । আমি যেরূপ দাস হইতে চাহিনী, সেরূপ আমি প্রভুও হইতে চাহিনী । ইহার মধ্যেই গণতন্ত্র সম্পর্কে আমার ধারণা প্ৰকাশ পাইয়াছে। ইহার সহিত যাহার মিল নাই, গরমিলের অনুপাতে, তাহা গণতন্ত্র নহে। এ. লিঙ্কন— R8
পাতা:এব্রাহাম লিঙ্কনের বক্তৃতাবলী.djvu/২৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।