বিতর্কের বৎসর গুলি আমার ব্যক্তিগত কোন পরিচয়ের যদি প্রয়োজন থাকে। তবে বলা যাইতে পারে যে আমি লম্বায় ৬ ফুট ৪ ইঞ্চির মত, কৃশকায়—ওজন ১৮০ পাউণ্ড, গায়ের রং কাল, কর্কশ। কাল চুল, ধূসর চক্ষু— কোন বিশেষ চিহ্ন বা নিদর্শন আছে বলিয়া মনে পড়ে না । শাসন নীতি লিঙ্কন শাসননীতি সম্পর্কে বিশেষভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তাহার কার্যকরী প্ৰয়োগ সম্পর্কে বিশেষভাবে চিন্তা করিতেন। ১৮৬০ সালে লিখিত একটি অংশে তিনি তঁাহার চিন্তাধারার অংশবিশেষ লিপিবদ্ধ করিয়া 玄忆邻可1 এ সকল কোন আকস্মিক ঘটনার ফল নহে। ইহার একটি নীতিগত কারণ রহিয়াছে। সংবিধান এবং ইউনিয়ন ছাড়া আমরা এই ফল লাভ করিতে পারিতাম না । কিন্তু এগুলিও আমাদের মহান সমৃদ্ধির প্রাথমিক কারণ নহে। এগুলির পিছনেও আর কিছু রহিয়াছে যাহা মানবহৃদয়কে ঘনিষ্ঠভাবে জড়াইয়া রহিয়াছে। সেই জিনিষটি হইল “সকলের জন্য স্বাধীনতা’র নীতি—যে নীতি সকলের পথ পরিষ্কার করে,-সকলকে আশা দেয়—এবং পরিণামে সকলের মধ্যে উদ্যম এবং অধ্যবসায় সৃষ্টি করে। আমাদের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে সেই নীতির প্রকাশ সর্বাপেক্ষা আনন্দ এবং সৌভাগ্যের বিষয় । এই নীতির ভিত্তিতে অথবা তা ছাড়াও, আমরা গ্রেট বৃটেন হইতে স্বাতন্ত্র্য ঘোষণা করিতে পারিতাম ; কিন্তু আমার বিশ্বাস উহা ছাড়া আমরা স্বাধীন সরকার প্রতিষ্ঠা করিতে পারিতাম না এবং ফলে এই সমৃদ্ধিলাভও ঘটিত না । কেবলমাত্র শাসক পরিবর্তন ব্যতীত আরও ভাল কোন ব্যবস্থার আশ্বাস না থাকিলে আমাদের পিতৃপুরুষদের ন্যায়, কোন নিপীড়িত জাতি যুদ্ধ করিতে পারিত না বা সেই যুদ্ধে জয়লাভ করিতে পারিত না । তদানীন্তনকালে ঐ নীতিটি ব্যক্ত হইয়াছিল কতিপয় শব্দের মধ্য দিয়া । “যথাযথারূপে ব্যক্তি’ এই শব্দগুলি আমাদের নিকট পরিণামে “সোনার আপেলের” মত হইয়া উঠিয়াছে। এই শব্দগুলিকে কেন্দ্ৰ করিয়াই “সংবিধান” ও “যুক্তরাষ্ট্র” “রৌপ্য চিত্রের” মত গড়িয়া উঠিয়াছে। ঐ “আপেল” অর্থাৎ ঐ নীতিকে আবৃত করিয়া রাখা বা বিনষ্ট করিবার জন্য এই চিত্রের সৃষ্টি হয় নাই, সৃষ্টি হইয়াছিল উহাকে সুচারুরূপে শোভিত করিয়া উহাকে রক্ষা করিবার জন্য। চিত্রটি তৈরি হইয়াছিল আমাদের ঐ “আপেলটির” জন্য, চিত্রটির নিমিত্ত আপেলটি তৈরি নাই । অতএব আসুন আমরা এমন কাজ করি। যাহাতে ছবি বা আপেল কোনটিই মলিন হইয়া না যায় বা ভাঙ্গিয়া না পড়ে।
পাতা:এব্রাহাম লিঙ্কনের বক্তৃতাবলী.djvu/৩৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।