পাতা:এব্রাহাম লিঙ্কনের বক্তৃতাবলী.djvu/৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এ ব্রাহাম লিঙ্কনের বক্তৃতাবলী প্ৰথম উদ্বোধনী ভাষণ ১৮৬১ সালের ৪ঠা মার্চ প্রেসিডেণ্ট পদে প্রথমবার অভিষিক্ত হওয়ার সময় প্রদত্ত ভাষণে লিঙ্কন দক্ষিণাঞ্চলের রাষ্ট্রগুলিকে ইউনিয়নের মধ্যে রাখিবার জন্য সহনশীল পন্থা অনুসরণের এক পরিকল্পনা উপস্থাপিত করেন। এবং উক্ত রাষ্ট্রগুলিকে গৃহযুদ্ধ পরিহার করিবার জন্য অনুরোধ জানান। --প্রেসিডেন্টের সকল ক্ষমতারই উৎস জনসাধারণ । জনসাধারণ রাষ্ট্রগুলির পৃথকীকরণের নিমিত্ত সর্তনির্ধারণের ক্ষমতা তাহাকে দেন নাই। জনসাধারণ ইচ্ছা করিলে তাহাও করিতে পারেন ; কিন্তু কর্মকর্তার এ বিষয়ে করিবার কিছু নাই। তঁহার কর্তব্য হইল তাহার উপর ন্যস্ত বর্তমান সরকারের শাসন পরিচালন করা এবং তিনি যেমনটি পাইয়াছিলেন সেইরূপ অক্ষত অবস্থায় সরকারকে তঁাহার উত্তরাধিকারীর হস্তে সমর্পণ করা । জনসাধারণের চূড়ান্ত ন্যায়পরায়ণতায় ধীর বিশ্বাস থাকিবে না কেন ? পৃথিবীতে এরূপ, বা ইহা অপেক্ষা মহত্তর, আশা আর কিছু আছে কি ? আমাদের বর্তমান বিভেদে কোন পক্ষই যে ন্যায়ের পথে চলিতেছে না। ইহা কি তাহারা ভাবিয়া দেখিয়াছে ? উভয় পক্ষই কি মনে করে না। যে তাহারা ন্যায়ের পথে চলিয়াছে ? চিরন্তন সত্য ও ন্যায়ের আধার জাতিসমূহের সর্বশক্তিমান শাসক যদি উত্তর বা দক্ষিণাঞ্চলে আপনাদিগের কাহারও পক্ষে থাকেন তবে মাকিন জনসাধারণের মহান বিচারালয়ে সুনিশ্চিতভাবে সেই সত্য এবং ন্যায়ের প্রকাশ ঘটবে। আমরা যে সরকারের অধীনে বাস করি এই জনসাধারণ এমনভাবে তাহার কাঠামো গড়িয়াছেন যাহাতে সরকারী কর্মচারীরা ক্ষতি করিবার বিশেষ সুযোগ না পায় ; অনুরূপ। বিচক্ষণতার সাহিতই তাহারা আরও ব্যবস্থা করিয়াছেন যাহাতে এই স্বল্প ক্ষমতাও আতি অল্প সময় অন্তর তাহদের হাতে ফিরিয়া যায় । জনসাধারণ ধর্মপরায়ণ এবং সতর্ক থাকিলে দুষ্টবুদ্ধি বা নিবুদ্ধিতা সত্ত্বেও কোন শাসক চার বৎসরের স্বল্প সময়ের মধ্যে সরকারের কোন গুরুতর ক্ষতি করিতে পারিবে না । আমার স্বদেশবাসিগণ, আপনারা সকলেই বিষয়টি সম্পর্কে শান্তভাবে এবং সুষ্ঠ ভাবে চিন্তা করুন। বিলম্বে কোন মূল্যবান জিনিষ নষ্ট হইবার আশঙ্কা নাই। আপনার সুনিশ্চিতভাবে যে পদক্ষেপ গ্ৰহণ করিতে চাহেন না। এমন কোন পথে যদি আপনাদিগকে ঠেলিয়া লইয়া যাইবার তাড়া থাকিত তবে বিলম্বে সেই উদ্দেশ্য পণ্ড হইতে পারিত ; কিন্তু কোন মহৎ উদ্দেশ্য ইহাতে ব্যর্থ হইতে পারে না | বর্তমানে আপনাদের মধ্যে যাহারা অসন্তোষ বোধ করিতেছেন। তঁহাদের নিকট পুরাতন সংবিধান অক্ষত অবস্থায় রহিয়াছে ; আরও রহিয়াছে ঐ সংবেদনশীল বিষয়ে সংবিধান অনুযায়ী আপনাদের স্ব-প্রণীত আইনসমূহ ; ইচ্ছা থাকিলেও এই দুইয়ের কোনটিই পরিবর্তনের প্রত্যক্ষ ক্ষমতা নূতন শাসকের নাই । যদি স্বীকার করিয়া লওয়া যায় যে র্যাহারা অসন্তুষ্ট তাহারাই ন্যায়ের পথে রহিয়াছেন, তথাপি