প্রেসিডেন্টরূপে কাৰ্যকাল ব্যতিরেকে এই ইউনিয়নকে রক্ষা করিতে বা ধ্বংস করিতে পারিতেন । কিন্তু তথাপি দ্বন্দ্ব আরম্ভ হইল। আরম্ভ হইবার পরও তিনি যে কোন পক্ষকেই চূড়ান্তভাবে বিজয়ী করিতে পারিতেন । কিন্তু দ্বন্দ্ৰ তথাপি চলিতেছে । দাস মালিকদের ক্ষতিপূরণ ১৮৬২ সালের ডিসেম্বর মাসে কংগ্রেসের নিকট দ্বিতীয় বার্ষিক বাণীতে লিঙ্কন, মুক্তি ঘোষণার প্রদত্ত আশ্বাস অনুযায়ী, সংবিধানের একটি সংশোধনীর জন্য প্ৰস্তাব করেন যাহাতে ফেডারেল সরকার স্বেচ্ছায় দাসপ্রথার উচ্ছেদ সাধনকারী রাষ্টগুলিকে সকল দাসের জন্য ক্ষতিপূরণ দিতে পারেন। তখনও তঁহার আশা ছিল যে যুক্তি এবং সদিচ্ছার দ্বারা দাস রাষ্ট্রগুলিকে ইউনিয়নের মধ্যে ফিরাইয়া আনা যাইবে ; সেই আশা স্পষ্ট প্ৰতিভাত হইয়াছে তঁাহার বাণীতে ঃ • • • আমার বিশ্বাস কেবলমাত্ৰ শক্তিপ্রয়োগ সাধন অপেক্ষা এই পরিকল্পনার মাধ্যমে অধিকতর দ্রুতভাবে শান্তি স্থাপন, এবং অধিকতর স্থায়ীভাবে তাহ রক্ষা করা যাইবে • • • আমার প্রস্তাবিত পরিকল্পনা গ্ৰহণ করিলে যুদ্ধের স্থায়িত্ব যে হ্রাস পাইবে এবং অর্থ ও রক্তক্ষয় যে সংকুচিত হইবে তাহাতে কোন সন্দেহ আছে কি ? ইহাতে সন্দেহ আছে কি যে ইহার ফলে জাতীয় কতৃত্ব ও জাতীয় সমৃদ্ধির পুনঃ প্রতিষ্ঠা ঘটবে এবং উভয়ই চিরস্থায়ী হইবে ? আমরা—কংগ্রেস এবং কাৰ্যনিৰ্বাহক [ সরকার – যে ইহা গ্ৰহণ করিতে পারি তাহাতে সন্দেহ আছে কি ? সৎ নাগরিকগণ কি আমাদের সম্মিলিত এবং অকুষ্ঠিত আবেদনে সাড়া দিবেন না ? আমরা বা নাগরিকগণ কি অন্য কোন উপায়ে এরূপ নিশ্চিতভাবে এবং এরূপ দ্রুততার সহিত এই অত্যাবশ্যকীয় উদ্দেশ্যগুলি সাধন করিতে পারিব ? কেবলমাত্র ঐক্যবদ্ধ ভাবেই আমরা সাফল্যলাভ করিতে পারি। “আমাদের মধ্যে কেহ ইহা অপেক্ষা ভাল কিছু কল্পনা করিতে পারেন। কিনা।” তাহ প্রশ্ন নহে; প্রশ্ন হইল, “আমরা সকলে মিলিয়া আরও ভাল কিছু করিতে পারি কি ?” উদ্দেশ্য যাহাই হউক না কেন, যতকিছু আপত্তিই উঠুক না কেন তবুও একই প্রশ্ন বারংবার দেখা দেয় : “আমরা কি আরও ভাল করিতে পারি ?” শান্ত অতীতের উপদেশবাক্যগুলি ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ বর্তমানের পক্ষে অনুপযোগী। সমস্যা বহুবিধ ; কিন্তু আমাদিগকে উহাদের সম্মুখীন হইতে হইবে। আমাদের বিষয়টি নূতন ; সুতরাং আমাদিগকে নূতনভাবে চিন্তা করিতে হইবে, নূতনভাবে কাজ করিতে হইবে। আমাদিগকে দাসত্ব হইতে মুক্তি পাইতে হইবে ; কেবল তখনই আমরা আমাদের দেশকে রক্ষা করিতে সমর্থ হইব । 8.
পাতা:এব্রাহাম লিঙ্কনের বক্তৃতাবলী.djvu/৪৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।