প্রেসিডেন্টরূপে কাৰ্যকা সাক্ষ্যস্বরূপ ইহাতে আমি আমার স্বাক্ষর এবং যুক্তরাষ্ট্রের সীলমোহর অঙ্কিত করিয়া দিলাম । আমাদের প্রভুর [ জন্মের | এক সহস্র আটশত ত্ৰিষষ্টিতম, এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার অষ্ট-আশীতিতম, বৎসরের ৩রা অক্টোবর ওয়াশিংটন নগরীতে এই ঘোষণা কুত হইল । এব্রাহাম লিঙ্কন গেটীসবার্গ বক্তৃতা ১৮৬৩ খৃষ্টাব্দের ১৯শে নভেম্বর লিঙ্কন পেনসিলভ্যানিয়ার অন্তর্গত গেটিসবার্গে একটি সমাধিক্ষেত্র উৎসর্গ করিতে যান। সে যুগের বিখ্যাত বাগ্মী এডওয়ার্ড এভারেট প্রধান বক্তা ছিলেন ; প্রেসিডেণ্টকেও কয়েকটি কথা বলিবার জন্য অনুরোধ করা হয়। এই মন্তব্যগুলিই ইতিহাসে গেটসবার্গ বক্ততা হিসাবে খ্যাত হইয়াছে। সাতাশী বৎসর পূর্বে আমাদের পিতৃপুরুষগণ এই মহাদেশে একটি নূতন জাতির প্রতিষ্ঠা করেন। স্বাধীনতায় ইহার উদ্ভব এবং সকল মানুষ সমভাবে সৃষ্ট হইয়াছে এই নীতির প্রতি ইহা উৎসর্গীকৃত। আমরা এখন এক মহান গৃহযুদ্ধে রত থাকিয়া পরীক্ষা করিতেছি যে সেই জাতি, বা অনুরূপভাবে কল্পিত এবং উৎসর্গীকৃত কোন জাতিই দীর্ঘকাল টিকিতে পারে কি না । আমরা সেই যুদ্ধের এক বিস্তীর্ণ রণক্ষেত্রে মিলিত হইয়াছি। সেই জাতি যাহাতে বাঁচিয়া থাকিতে পারে সেজন্য এখানে র্যাহারা জীবন দান করিয়াছেন। তঁহাদের অন্তিম বিশ্রামের স্থান হিসাবে আমরা সেই ক্ষেত্রের একাংশ উৎসর্গ করিতে আসিয়াছি । ইহা করা বিশেষ সঙ্গত এবং সমুচিত । কিন্তু এক অর্থে আমরা এই জমি উৎসর্গ করিতে পারি না-নিবেদন করিতে পারি না—পবিত্ৰ করিতে পারি না । জীবিত বা মৃত যে সাহসী ব্যক্তিগণ এই স্থানে সংগ্রাম করিয়াছিলেন তঁাহারা ইহাকে যে পবিত্ৰতা দান করিয়াছেন তাহা বাড়ান অথবা কমান আমাদের সাধারণ শক্তির সাধ্যাতীত। এখানে আমরা কি বলি বিশ্ববাসী তাহা লক্ষ্য করিলে অধিকদিন মনে রাখিবে না ; কিন্তু তঁাহারা এখানে যাহা করিয়াছিলেন বিশ্ববাসী তাহা কখনও ভুলিবে না। এখানে যুদ্ধ করিয়া যে উদ্দেশ্যকে তঁাহারা মহতের ন্যায় এতদূর অগ্রসর করিয়া লইয়া আসিয়াছেন, আমরা যাহারা জীবিত রহিয়াছি আমাদের কর্তব্য সেই 8 Հ)
পাতা:এব্রাহাম লিঙ্কনের বক্তৃতাবলী.djvu/৫২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।