Stfits s “আমরা এই স্থানে যাহা বলিতেছি পৃথিবীর জনসাধারণ তাহার প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিবে না বা অধিককাল তাহা স্মরণেও রাখিবে না . . .” ১৮৬৩ সালের ১৯শে নভেম্বর পেনসিলভ্যানিয়ার অন্তর্গত গেটিসবাগে এই ভাবেই গভীর বিনয়ের সহিত এব্ৰাহাম লিঙ্কন তাহার ভাষণ দিয়াছিলেন । ইহাই ছিল তাহার প্রকৃত বিশ্বাস। সেই বিশেষ স্থানে সেইমাত্ৰ এক মহারণে মানুষ মৃত্যু বরণ করিয়াছে ; সেই সমরই যেখানে গেটিসবার্গের নাম অক্ষয় করিয়া রাখিবে, সেখানে কি করিয়া আশা করা যায় যে জনসাধারণ র্তাহার কয়েকটি সামান্য কথা মনে করিয়া রাখিবেন ? কিন্তু লিঙ্কন এ ব্যাপারে ভুল করিয়াছিলেন। সেইদিন তিনি অনাড়ম্বরে যে কয়েকটি সহজ কথা বলিয়াছিলেন তাহা সত্যই দীর্ঘদিন যাবত স্মরণীয় হইয়া রহিয়াছে ; এবং যতদিন পর্যন্ত গেটিসবার্গ বক্তৃতায় সংক্ষেপে এবং সুষ্ঠভাবে প্রকাশিত আদর্শ জনসাধারণ পোষণ করিয়া চলিবেন ততদিন পর্যন্ত, চিরকালই, তাহা স্মরণীয় হইয়া থাকিবে । তাহার জীবদ্দশায় তিনি আরও যে সকল কথা বলিয়াছিলেন বা লিখিয়াছিলেন সেগুলিও যে “দীর্ঘদিন যাবত স্মরণীয় হইয়া থাকিবে” লিঙ্কন তাহা আশা করেন নাই—যেমন আশা করেন নাই গেটিসবার্গ বক্তৃতার ক্ষেত্রে। রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠার পর সর্বাপেক্ষা সঙ্কটজনক সময়ে প্রেসিডেন্টরূপে থাকিয়া লিঙ্কন অবশ্যই জানিতেন যে তিনি ইতিহাসে এক অধ্যায় রচনা করিতেছেন। তিনি তাহার উপর ন্যস্ত বিরাট দায়িত্ব সম্পর্কে সম্পূর্ণ সচেতন ছিলেন। তাই দেশবাসীর উদ্দেশে বাণী দানের সময় তিনি সযত্নে শব্দ চয়ন করিয়া ভাষণ রচনা করিতেন । তিনি যখন যেখানেই বক্তৃতা করিতেন সেখানকার নরনারীর মনকে তাহা স্পর্শ করিত। যাহাতে তাহারা যথাযথ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিতে পারেন এবং সেগুলি মানিয়া চলেন তজজন্য তিনি “জনগণের জন্য, জনগণের দ্বারা গঠিত, জনগণের সরকার”-এর
পাতা:এব্রাহাম লিঙ্কনের বক্তৃতাবলী.djvu/৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।