বাতোয়ালা উঠে পড়ে···আর বসে থাকা চলে না। এ-বার সুরু করতে হবে দিনের কাজ ।
কিছুদূরে মাঠের ধারে একটা ঢিবির মত উঁচু জায়গা ছিল বাতোয়ালা সেই ঢিবির দিকে এগিয়ে চলে। সেই ঢিবির ওপর তিন জায়গায় থাকের পর থাক তার নিজস্ব তিনটে “লিংঘা” ( জয়ঢাক ) ছিল । মাটী থেকে দুটো মুগুর তুলে নিয়ে সবচেয়ে বড় লিংঘাটার ওপর দুবার আঘাত করলো ধীরে, মেপে মেপে ৷ সমস্ত নির্জনতা সে-শব্দে মুখর হয়ে উঠলো ।
লিংঘার আওয়াজ ধীরে ধীরে মিলিয়ে গেল। কয়েক মুহূর্ত আবার সব চুপ-চাপ আবার মুগুর দুটো তুলে নিয়ে দুবার আঘাত করলো লিংঘায়। গুরুগম্ভীর শব্দে আরার ভরে উঠলো বাতাস। ধীরে ধীরে সে-শব্দ মিলিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাতোয়ালার হাতের স্পর্শে এবার সবগুলো লিংঘা থেকে, গুড়, গুড়, টম্ টম্ শব্দ একসঙ্গে জেগে ওঠে, প্রথমে ধীরে, তারপর দ্রুত, তারপর আরও দ্রুত, শেষকালে সর্বোচ্চ সুর থেকে আবার ক্রমে ক্রমে ধীরে ধীরে মৃদু কোমল হয়ে বাতাসে মিলিয়ে যায় ।
বাতোয়ালা দূরের দিকে চেয়ে উৎকর্ণ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। কয়েক মুহূর্ত যেতে না যেতে, মেঘ-গর্জনের মতন, খুব কাছ থেকে, তারপর কিছু দূর থেকে, আরো দূর থেকে, বাঁ দিক থেকে,
ডানদিক থেকে, চারদিক থেকে প্রত্যুত্তর আসতে সুরু করলো।
৩২