সম্ভাবনা নেই···নতুন কোন বিপদের আতঙ্ক নেই··· যা আছে, মুখ বুজে শুধু তাকে স্বীকার করে নেওয়া···বাতোয়ালার হাতের স্পর্শে তার লিংঘায় জেগে ওঠে সেই অমোঘ ভবিতব্যতার কথা···শ্রান্ত, ক্লান্ত, মন্থর।
ক্রমশঃ বাতোয়ালার হাতের মুগুর পালা করে তিনটে লিংঘার ওপর সমানে পড়তে থাকে···আওয়াজ ক্রমশ দ্রুততর, উচ্চতর হতে থাকে—যেন ধীরে ধীরে ঝড় জেগে উঠছে···দেখতে দেখতে সমস্ত আকাশ ভরে ওঠে তার শব্দের সঙ্গীতে···হঠাৎ এক জায়গায় এসে থেমে যায় সঙ্গীত···ক্ষণিকের বিরাম···পূর্ণ নিস্তব্ধতা···আবার সুরু হয়, এবার সুরু থেকেই ঝড়ো শব্দের চড়া আওয়াজ···গুরু গম্ভীর গর্জন···গর্জন প্রতি মুহূর্তে বেড়ে চলে···
বাতোয়ালার সারা অঙ্গ বেয়ে দর-ধারায় ঘাম ঝরে পড়ে। সে উল্লসিত। তার মনের কথা সে স্পষ্ট করে সকলকে জানিয়েছে! হাতের মুগুর চালানোর সঙ্গে সঙ্গে নাচতে সুরু করে দেয়।
সে আজ তাদের সবাইকে ডাকছে···দূর-দূরান্ত গ্রামে যেখানে তার অনুগতজনেরা আছে, তাদের স্ত্রী, ছেলেমেয়ে, বন্ধু-বান্ধব, বন্ধুদের আবার যারা বন্ধু আছে তাদের সকলকেই সে আমন্ত্রণ জানায়। অন্য গ্রামে যারা মোড়ল, যাদের সঙ্গে সে করেছে প্রাণ-বিনিময়, যাদের রক্ত সে পান করে নিজের দেহে নিয়েছে, তার রক্ত যারা পান করে তাদের দেহে নিয়েছে―তাদের
৩৪