প্রত্যেককে দেয় ডাক। ন’ দিনের ভেতর তাদের সকলকে এসে জড় হতে হবে, গান্জা-উৎসব উপলক্ষে বিরাট এক ‘ইয়াংবার’ আয়োজন সে করবে, সে–নৃত্য–উৎসবে তাদের সকলেরই নিমন্ত্রণ। সে–বিরাট আয়োজনে তাকে সাহায্য করবার জন্যে, সবাইকে সে আজ ডাক দেয়।
অদ্ভুত এই লিংঘার আওয়াজ। যুগের পর যুগের চেষ্টায় তারা গড়ে তুলেছে এই বিস্ময়কর ভাষাকে। তারই সাহায্যে বাতোয়ালা আজ এক নিমেষে ছড়িয়ে দিল গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে তার নিমন্ত্রণের সংবাদ। এবং সে-সংবাদের মধ্যে তারা খবর পেয়ে গেল, কি বিরাট উৎসব আর আনন্দেরই আয়োজন সে করছে। খাওয়া-দাওয়া, নাচ-গান, সারাদিন, সারারাত ধরে চলবে উৎসব। যত রকম নাচ আছে, সব নাচেরই আয়োজন সে করবে। হাতী-নাচ, বর্শা-নাচ, যুদ্ধের নাচ, কোন নাচই বাদ যাবে না। সবার ওপরে থাকবে, সকলের চেয়ে সেরা নাচ, ভালবাসার নাচ···কালো কাফ্রী তরুণী মেয়েরা যে-নাচে রেখেছে তাদের মুগ্ধ ক’রে।
সারাদিন চলবে খাওয়া আর নাচ, নাচ আর খাওয়া, সারারাত চলবে পাত্র ভরে পান আর নাচ, নাচ আর পাত্র ভরে পান। ক্যাসাভা দানার ভাত, আলু, কুমড়ো, ইয়াম্, নাড়ালো, ভুট্টা···কি মধুরই না ভুট্টা দানার বিয়ার! জালা ভর্তি থাকবে ভুট্টা দানার বিয়ার! কুমীরের ডিম–সেদ্ধ আর বিয়ার! প্রচুর
৩৫