পরিমাণে থাকবে কুমীরের ডিম, মাছ, মাংস! প্রত্যেককেই আসতে হবে···হাঁ···হাঁ··· সকলের আসা চাই-ই!
নিমন্ত্রণ শেষ হয়ে গেলে, বাতোয়ালা কয়েক মুহূর্ত ঘাড় উঁচু করে দূরের দিয়ে চেয়ে রইলো···যেন কার উত্তরের অপেক্ষায় আছে। সহসা নীরবতাকে ভঙ্গ করে দূর থেকে আবার ভেসে আসতে সুরু করে সঙ্গীতের মতন বিচিত্র সব আওয়াজ···বাতোয়ালা স্পষ্ট বুঝতে পারে, আলাদা আলাদা করে প্রত্যেক গানের আলাদা লাইন,—
“শুনলাম, তোমার সব কথাই আমরা শুনেছি···বুঝেছি কি বলতে চাইছো তুমি···তুমি আমাদের সেরা, সকলের সেরা, সকলের সেরা বাতোয়ালা তুমি··· আমরা আসবো··· আমরা আসবো সবাই আসবো তোমার আমন্ত্রণে···নিশ্চয়ই, সঙ্গে নিয়ে যাবো আমাদের বন্ধুদের··· ফুর্তি করবো, নাচবো, গাইবো সারাদিন সারারাত···শাদা লোকদের মত স্পঞ্জের মতন শুষে নেবো তোমার মদের জালা···আমাদের প্রত্যেকের গাঁয়ের হয়ে আমরা প্রত্যেকে কথা দিচ্ছি—আমি ঔরো—আমি ওহৌরো—আমি কাঙ্গা—ইয়াবিংগুই—ডেলেপো—তেঙ্গোমালি—ইয়াবাদা—প্রত্যেক মোড়ল, আমরা কথা দিচ্ছি—আমরা যাবো—আমরা যাবো—”
ধীরে ধীরে দিগন্ত-রেখায় ক্রমশ মিলিয়ে যায় তাদের কথাবার্তা—বাতোয়ালা লিংঘার কাছ থেকে নেমে আসে—
৩৬