থেকে পাওয়া নানান অভ্যাসের মতনই এটাও হয়ে গিয়েছে স্বভাব। যতই বয়স বাড়তে থাকে, ততই বুঝতে পারে, এই সব অভ্যাসের দাম কতখানি।
শাদা লোকেরা জানে না, পা ফেলার সঙ্গে সঙ্গে এইভাবে মাটীকে খুঁটিয়ে দেখার মূল্য কতখানি। কত সামান্য সামান্য ব্যাপারই তারা জানে না! পায়ে পাথরের কুচি লাগতে পারে। কাদায় পা হড়্কে যেতে পারে, খানায় বা ডোবায় পা মুচ্কে যেতে পারে। একটু নজর রাখলেই যদি তা থেকে বাঁচা যায়, নজর রাখতে ক্ষতি কি! তার জন্যে তো আর আলাদা সময় নষ্ট করতে হয় না। তা তাড়া, মানুষের যত বুদ্ধি বাড়ে, মানুষ ততই বুঝতে পারে, সময়ের তো আলাদা কোন দামই নেই···সময়ের মধ্যে যেটুকু পাওয়া যায় সেইটুকুই তো সময়ের দাম! তা ছাড়া, সময়ের আবার দাম কি!
বাতোয়ালা অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাতোয়ালার ঘরে এসে উপস্থিত হয়, বিসিবিংগুই।
ভরা যৌবন···লিক্লিকে ছড়ির মতন দেহ। সবল···সুন্দর।
বাতোয়ালার ডেরায়, যখনই সে আসুক না কেন, তারজন্যে এক থালা খাবার আর তার শোবার জন্যে একটা বোগ্বো সব সময়ই প্রস্তুত থাকে। বাতোয়ালার সে ঘনিষ্ঠ বন্ধু, তাই এই বিশেষ খাতিরটুকু বাতোয়ালা তারজন্যে আনন্দেই বরাদ্দ করে রেখেছে।
৩৮