পাতা:এরাও মানুষ - নৃপেন্দ্রকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায় (১৯৫০).pdf/৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

 শুধু যে বাতোয়ালাই তাকে এইভাবে স্নেহ করতো, তা নয়। বাতোয়ালা জানে না, তার অসাক্ষাতে তার ন’ জন স্ত্রীর মধ্যে আটজনই বিসিবিংগুইকে তাদের অন্তরের প্রীতির প্রত্যক্ষ নিদর্শন জানাতে দ্বিধা করে নি। একমাত্র এখনো পর্যন্ত এই কার্যে বাদ দিয়েছিল, তার প্রধানা স্ত্রী, ইয়াসী গুইন্দজা। তবে, ইদানীং একটু লক্ষ্য করলেই বেশ বোঝা যায় যে ইয়াসীগুইন্দজা তার মহিমান্বিত স্বামীর আদেশের চেয়ে বিসিবিংগুই-এর আদেশকেই যেন বেশী সমীহ করে চলছে। ইয়াসীগুইন্দজা শুধু অপেক্ষা করে আছে একটা ভাল রকমের সুযোগের জন্যে, যে সুযোগের শুভ-লগ্নে সে তার অন্তরের কামনা বিসিবিংগুইকে নিবেদন করতে পারবে।

 পুরুষের কামনাকে প্রত্যাখ্যান করা নারীর শোভা পায় না। নারীর কামনা সম্বন্ধে পুরুষেরও সেই একই কর্তব্য। এই হলো স্বভাব-ধর্ম। স্বভাব-ধর্মকে মেনে চলাই হলো সর্বোচ্চ আইন। একজন নারীকে যে একজন পুরুষেরই সম্পত্তি হয়ে থাকতে হবে, এমন কোন কথা নেই। তাই স্বামীকে প্রতারণা করার মধ্যে খুব একটা ভয়ঙ্কর ক্ষতি বলে কিছু নেই।[]


৩৯

  1. পাঠকদের অবগতির জন্যে স্পষ্ট করে বলতে বাধ্য হচ্ছি, এটা লেখকের মত বা সিদ্ধান্ত নয়। আফ্রিকার আদিম অধিবাসীরা যে-ভাবে এই প্রশ্নকে দেখে, তাদের দৃষ্টিভঙ্গী দিয়েই তাদের কথাই এখানে বলা হয়েছে।