অপরের সম্পত্তি সাময়িক ভাবে ভোগ করার দরুণ যদি ক্ষতিপূরণের কথা একান্তই ওঠে তা হলে আসল মালিককে ক্ষতি—পূরণ বাবদ গোটাকতক মুরগী ও ছাগল ছানা বা দরকারী কাপড়–চোপড় দিয়ে পুষিয়ে দিলেই হলো। তারপর সবই ঠিক হ’য়ে যাবে।
অবশ্য, সব ক্ষেত্রে যে এইভাবে মীমাংসা হ’য়ে যাবে, তার কোন নিশ্চয়তা নেই। অন্তত বাতোয়ালার ক্ষেত্রে তা সম্ভব হবে না, তাতে কোন সন্দেহই ছিল না। সেখানে সে দুর্দান্ত ক্ষমাহীন, কোন প্রতিদ্বন্দীকেই সে সহ্য করবে না, করতে পারে না। যাই বলুক লোকাচার, আর যাই হোক না কেন সনাতন সামাজিক রীতিনীতি, তার সম্পত্তির ওপর যারা হাত দেবে, তাদের ধ্বংস করে ফেলতে তার এতটুকুও কোথাও বাধবে না। রীতিমত চড়া দাম দিয়ে সে ইয়াসীগুইন্দজাকে কিনে এনেছিল —সে জমির ষোল আনা মালিক সে—সেখানে তারই একমাত্র অধিকার বীজ বপন করবার। ইয়াসীগুইন্দজা সে–কথা ভাল করেই জানতো! তাই সে এতদিন পর্যন্ত নিজের স্বভাব-ধর্মকে দমন করেই রেখেছে।
গত দু’ তিন চাঁদ ধরে ইয়াসীগুইন্দজা লক্ষ্য করে দেখেছে, বিসিবিংগুই ইদানীং যাওয়া-আসা খুবই কমিয়ে দিয়েছে। তাই আজকে তার হঠাৎ আবির্ভাব তাকে উতলা করে তোলে।
একদিন ঘোর বর্ষার মধ্যে বিসিবিংগুই জন্মেছিল। তারপর
৪০