থেকে ষোলটা বর্ষা চলে গিয়েছে। আজ সেই ষোল বর্ষার জল তাকে যৌবনে ভরপুর করে তুলেছে। ঠিক এই বয়সে, মানুষের মত তাজা মানুষ যারা, তারা চব্বিশ ঘণ্টা শীকার করে বেড়ায়·· স্ত্রীলোককে। ঠিক যেমন তাদের চোখের সামনে বনে শীকার করে ঘুরে বেড়ায় নেকড়ে বাঘ তরুণী হরিণীর খোঁজে।
দেখতে দেখতে চোখের সামনে বিসিবিংগুই পাতার আড়ালে লুকানো ফলের মতন পরিস্ফুট হয়ে উঠেছে। তার দেহের প্রত্যেক পেশী সে-সংবাদ সগর্বে ঘোষণা করছে। তবে, তাকে হরিণীর পেছনে ছুটতে হয় না, হরিণীরাই তার খোঁজে ছুটে বেড়ায়। কালো ইয়াসী, আর বুনো হরিণী, দুই-ই এক। তবে নেকড়ের কাছে ধরা দিতে হরিণীর কোন আনন্দ নেই। কিন্তু ইয়াসীরা আনন্দে ধরা দেয় তার কাছে। শ্রদ্ধা করে তার সম্পূর্ণ বলিষ্ঠতাকে, পরিপূর্ণতাকে। তার জন্যে অনেক ঘরে অনেক দম্পতীর মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে গিয়েছে, অনেক ঝগড়া বাদবিতণ্ডা হয়ে গিয়েছে। ক্রমশ ব্যাপার এতদূর পর্যন্ত গড়ায় যে, লোকে তার নামে কমাণ্ডারের কাছে নালিশ করতে বাধ্য হয়। নালিশের পর নালিশ পেয়ে একদিন কমাণ্ডার তাকে ডেকে পাঠিয়ে শাসিয়ে দেয়, ফের যদি তার সন্বন্ধে এই নালিশ আসে, তাহলে তাকে ধরে জেলে আটক করে রাখা হবে।
তার ফলে তরুণী ইয়াসীদের মহলে তার খ্যাতি আরো বেড়েই যায়।
৪১