তাই বহুদিন পরে বিসিবিংগুই–এর অকস্মাৎ আবির্ভাবে বাতোয়ালার কুটীরবাসিনীরা আনন্দমুখর হয়ে উঠলো। সকলেই ছুটে এল সাদর অভিবাদন জানাবার জন্যে। প্রত্যেকের মুখেই প্রশ্ন, কোথায় ছিলে? কি করছিলে? এখানে সেই যে শেষ এসেছিলে, তারপর কত নতুন মেয়ের সঙ্গে আলাপ হলো? তাদের নাম কি? শুনলাম, অমুক মেয়ের সঙ্গে···সে কি সত্যি? এই ধরণের শত অন্তরঙ্গ প্রশ্ন চারদিক থেকে তাকে আক্রমণ করল।
কোন রসিকতাতেই হাঁ কি না, কোন সাড়া না দিয়ে সে হাসতে হাসতে বাতোয়ালার পরিত্যক্ত হুঁকোটা তুলে নিল, ঘন করে তামাক পাতা ঠেসে একটা জ্বলন্ত কাঠকয়লা তার ওপর তুলে দিল।
পাতা ধরে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে মাদুরে হাত-পা ছড়িয়ে বসে মনের সুখে হুঁকোতে টান দিল। ছোট ছোট ধোঁয়ার কুণ্ডলী গোল হয়ে বাতাসে মিশে যেতে লাগলো।
ইয়াসীগুইন্দজা গম্ভীর চালে বলে ওঠে, মেয়েমানুষদের নিয়ে এ-রকম খেলা ভাল নয়···তোমার ভালোর জন্যেই বলছি, তাদের সম্বন্ধে একটু সাবধানেই চলো। কোন্দিন দেখবো, সারা অঙ্গে ঘা নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছো!
ইয়াসীগুইন্দজার কথায় তার আটজন সপত্নী হি–হি করে হেসে ওঠে।
৪২