পাতা:এরাও মানুষ - নৃপেন্দ্রকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায় (১৯৫০).pdf/৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

 —এ-হি···হি···হি···ইঃ···ইয়াবোয়া······ইয়াসীগুইন্দজের কথা শোন···এ-হি··· হি··· হি···”

 উপযুক্তভাবে হয়ত সাবধান করা হলো না, মনে করে ইয়াসী গুইন্দজা বিস্তারিত ব্যাখ্যা করে বলতে শুরু করে, “কাসিরি ঘা তো তবু ভালো···তার চেয়েও ভয়ংকর জিনিস আছে বন্ধু! সারা গায়ে চাকা চাকা দাগ হবে··· নেকড়ের মত···মাংস খসে খসে পড়বে···অমন যে দাঁত, তার একটীও থাকবে না···ময় মাথার চুল, হাতের আঙুল পর্যন্ত! মনে নেই, ইয়াকেন্–লেপিনের কথা? এই তো তিন চাঁদ, কি চার চাঁদ আগেও তো সে বেঁচে ছিল!”

 আবার তারা সকলে অট্টহাস্য করে উঠলো।

 তারা হাসছিল, এমন সময় বাতোয়ালা এসে হাজির হয়। হাসির কারণ বাতোয়ালাকে তারা জানিয়ে দেয়।

 বাতোয়ালা তাদের হাসিতে যোগদান করে। সবাই মিলে অট্টহাস্য করে ওঠে। আলাপে, রসিকতায় মশগুল হয়ে যায়। হাসতে হাসতে লুটিয়ে পড়ে···গড়াগড়ি দেয়···চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ে।

 —“এ-হে-হে···হিঃ-হিঃ···হিঃ···বাতোয়ালা গো···ও হো-হো ···ওঃ···ওঃ···”

 ক্রমশ সূর্য অস্তে বসে।

 একটু একটু করে নীড়ে ফিরে–আসা পাখীর কাকলী ক্ষীণ

৪৩