আবার সুরু হয় বিন্দু বিন্দু আলোর অভিযান, চিহ্নিত হয়ে ওঠে নিশ্চিহ্ন মহাশূন্য।
সারাদিনের রৌদ্রদগ্ধ ধরণীর অঙ্গ থেকে বিচ্ছুরিত হতে থাকে উত্তপ্ত বাষ্প।
দিক-বিদিকে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে রাত্রির হিমেল সুবাস। অন্ধকারে জন্ম নেয় শিশির-বিন্দু। বিদায়ী দিনের উত্তাপ আর আগত রাত্রির হিম-স্পর্শ মিলে গিয়ে ঝরে পড়ে শিশিরে শিশিরে। ভিজে ওঠে শুকনো মাটী। বাতাস ভারী হয়ে ওঠে বুনো লতার স্নিগ্ধ মৃদু গন্ধে। অন্ধকার ভরে যায় নামহীন পতঙ্গের অবিচ্ছেদ গুঞ্জনে।
কাছে কোথাও কুটীর-প্রাঙ্গণে কালো কাফ্রী-রমণী গম পিষছে। তার শব্দের সঙ্গে মিশে যায় বাজনার টম্ টম্ আওয়াজ।
ঘরে ঘরে জ্বলে ওঠে উনুনের আগুন। ধোঁয়ার কুণ্ডলী জানিয়ে দেয়, সেখানে আছে মানুষের থাকবার কুঁড়ে ঘর।
ঘরের চারদিক ঘিরে গান সুরু করে দেয় আফ্রিকার বুনো ব্যাঙের দল। এক এক দলের এক এক রকম আওয়াজ। বাতোয়ালার ঘরে দিনের সফর শেষ করে ফিরে এসেছে জুমা, বাতোয়ালার পালিত কুকুর। ব্যাঙেদের একঘেয়ে ডাকের প্রতিবাদে সে মাঝে মাঝে চীৎকার করে ওঠে।
তাছাড়া, আর কোথাও কোন জীবনের চিহ্ন নেই। একটা
৪৫