মৌন বেদনা আর মথিত অসহায়তাকে ঢেকে রাখবার জন্যেই যেন নেমে এসেছে রাত্রির অন্ধকার।
কিছুক্ষণ পরে আকাশে দেখা দেয় আইপু[১], ধীরে ধীরে মেঘের পাশ কাটিয়ে চলেছে, যেমন কচুরী–পানার পাশ কাটিয়ে নদীর ওপর দিয়ে চলে নৌকো।
ইতিমধ্যেই ছ’ রাত হয়ে গিয়েছে চাঁদের বয়স।
“গান্জা” উৎসবের ঠিক তিন দিন আগে হঠাৎ প্রবল এক ঘূর্ণী ঝড়ে সমস্ত গাঁ যেন ছিন্নভিন্ন হয়ে গেল। এর আগে থাকতে অতি-বৃষ্টির দরুণ যে ক্ষতি একটু একটু করে জমা হচ্ছিল, ঝড় এসে তা সম্পূর্ণ করে দিয়ে গেল।
এত বড় যে একটা ঝড় হয়ে যাবে, তার কোন লক্ষণই আগে থাকতে কিছুই দেখা যায় নি। রোজ যেমন সকাল হয়, সূর্য ওঠে, তেমনি সেদিনও গ্রিমারী গাঁয়ে ভোর হয়েছে, সূর্য উঠেছে। প্রথমটা যেমন একটু ধোঁয়াটে থাকে, তারপর বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দিব্যি ফর্সা হয়ে ওঠে, সেদিনও তেমনি রোদে-পোড়া স্বচ্ছ দিনই প্রথম দিকটায় পরিস্ফুট হয়ে উঠেছিল।
মাঝামাঝি দিনে, প্রতিদিন যেমন নরম হাওয়া ওঠে, তেমনি নরম হাওয়ায় ঘন সবুজ বনের বুকটা দুলে উঠলো···নরম হাওয়া, ঠাণ্ডাও নয়, গরমও নয়। গাছের পাতার আড়ালে “গোলোকোতো” পাখীর দল কুজন করতে থাকে, তাদের সঙ্গে
৪৬
- ↑ চাঁদ।