পাতা:এরাও মানুষ - নৃপেন্দ্রকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায় (১৯৫০).pdf/৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

 স্বভাবতই ইন্দৌভৌরা একটু বেশী হিংসুটে, রক্তের তেজ তার কমেনি। তাকে পরিত্যাগ করে বিসিবিংগুই যে ইয়াসী–গুইন্দজার পেছনে ঘুরছে, এ ব্যাপারটা সে কিছুতেই হজম করতে পারে না।

 তার কথার ইঙ্গিত বুঝে সপত্নীদের মধ্যে একজন জবাব দেয়, সত্যি, দেমাক্ দেখাতেই যেন তাদের সব সুখ!

 “তাতে অবিশ্যি, কার কি যায় আসে? সেদিকে চেয়ে না দেখলেই হলো! কিন্তু কথাটা কি জানিস্, যাদের কোন দেমাক্ নেই, অনায়াসেই লোকে তাদের ঘাড়ে চাপে। কি বলো গো ইয়াসীগুইন্দজা?”

 সকলে খিল খিল করে হেসে ওঠে। ইয়াসীগুইন্দজাকে তারা কেউই দেখতে পারতো না।

 সপত্নীর প্রশ্নে ইয়াসীগুইন্দজা বলে ওঠে, তা যা বলেছিস্, সত্যি! কিন্তু কার কথা তুই বলছিস্, আমি তো ভাই বুঝতে পারছি না! সেই 'নাংগাপৌ' মাগীটার কথা বলছিস্···সেদিন’ একজন বড় মোড়লের সঙ্গে যার বিয়ে হলো?

 ‘নাংগাপৌ’ কথাটার মধ্যে একটা গোপন আঘাত ছিল। অতি নীচ জাত তারা এবং ইন্দৌভৌরা সেই নীচ জাতেরই মেয়ে। ইন্দৌভৌরা তৎক্ষণাৎ ধরে নেয় যে, তাকেই গালাগাল দিয়ে একথা বলা হলো। রাগে তার ভেতরে এক নিমেষে আগুন জ্বলে ওঠে।

৪৯

  বা—৪